গত জানুয়ারি মাসে হাসপাতালের আবর্জনার স্তুপ পরিদর্শন করেছিলেন বায়োমেডিক্যাল সংস্থার সদস্য থেকে শুরু করে জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিক। আবর্জনা পরিষ্কারের কাজ শুরু হয়েছে। জানা গিয়েছে, দীর্ঘ বেশ কয়েক বছর ধরে আইনি জটিলতায় আলিপুরদুয়ার চত্বরে হাসপাতালের বর্জ্য পদার্থের স্তুপ তৈরি হয়েছে। যার ফলে সমস্যায় পড়তে হয়েছিল জেলা হাসপাতালে আসা রোগী ও রোগীর পরিবারের সদস্যরা। গত ২২ জানুয়ারি রাজ্যের মুখ্য সচিব জেলা হাসপাতাল পরিদর্শন করে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন এবং সমস্যা সমাধানের নির্দেশ দেন।
advertisement
আরও পড়ুন: অনলাইন ছেড়ে অফলাইন! নিয়মের বাড়াবাড়ি! চিলাপাতা জঙ্গল ছেড়ে দলে দলে পালাচ্ছেন পর্যটকরা
এরপরে উদ্যোগ নিয়েছে জেলা স্বাস্থ্য দফতর। আবর্জনা সরানোর জন্য খরচ হচ্ছে প্রায় সাড়ে চার কোটি টাকা। প্রথমে জেলা প্রশাসনের কাছে একটি বেসরকারি কোম্পানি এমন প্রস্তাব দিয়েছিল। এই কোম্পানি বিভিন্ন হাসপাতালের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ রয়েছে আবর্জনা সরানোর জন্য। এরপর জেলার পক্ষ থেকে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের সঙ্গে তাঁদের পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়। জেলা হাসপাতালে প্রায় ২০ বছর থেকে আবর্জনা জমে রয়েছে। প্রায় এক হাজার মেট্রিক টন আবর্জনা রয়েছে। আবর্জনা সরলে ওই জায়গায় প্রায় ৮০ থেকে ৯০টি গাড়ি থাকতে পারে। প্রতি কেজি আবর্জনা নেওয়ার একটি দর দেওয়া হয়েছে। হাসপাতালের ওই আবর্জনাকে মিশ্র আবর্জনা হিসেবে ধরা হয়েছে। যেখানে বায়োমেডিকেল বর্জ্য ও সাধারণ আবর্জনা রয়েছে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান সুমন কাঞ্জিলাল জানিয়েছেন, “আবর্জনা পরিষ্কার হলে এই জমিটিকে হাসপাতালের সৌন্দর্যায়নে ব্যবহার করা হবে। যাত্রী শেড, পার্ক গড়ে তোলা হবে। এরপর থেকে হাসপাতালের আবর্জনা যাবে আলিপুরদুয়ার সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট প্রকল্পে।”
Annanya Dey





