চার একর জমিতে তৈরি হওয়া এই উদ্যান প্রজাপতিদের স্বর্গরাজ্য। এখনও পর্যন্ত ১৪১ প্রজাতির প্রজাপতির দেখা মিলেছে এই উদ্যানে বলে দাবি বন দফতরের কর্তাদের। তবে শীতের মরশুম শুরু হলেই সংখ্যা কমে প্রজাপতিদের। সেই সময় আনাগোনা বাড়ে স্পাইডার হান্টার, ক্রিমসন সনবার্ড, গোল্ডেন ফ্রন্টেড লিফ বার্ড-সহ একাধিক পাখিদের। ফলে বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের জঙ্গলের পাশাপাশি, পর্যটকদের অন্যতম আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে এই রাজা ভাতখাওয়ার প্রজাপতি উদ্যান।
advertisement
প্রতি বছর মার্চ থেকে নভেম্বর পর্যন্ত প্রজাপতি এই উদ্যান ভরে থাকলেও, শীত পড়তেই পাখিদের আস্তানায় পরিণত হয় এই উদ্যান। বন দফতরের আধিকারিকদের কথায়, এই উদ্যানটি কয়েকশো গাছে ঘেরা। ফলে বক্সার জঙ্গল সাফারিতে পর্যটকেরা যেই পাখি দেখতে পান। তার অধিকাংশই এই শীতের মরশুমে এই উদ্যানে দেখা যায়। শীত পড়তেই তাদের কিচিরমিচির শব্দে ভরে ওঠে গোটা উদ্যান। যা ক্যামেরাবন্দি করতে ভিড় জমান দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা বন্যপ্রাণী প্রেমীরাও।
পাশাপাশি শিক্ষামূলক ভ্রমণের জন্য এই রাজ্যের পাশাপাশি, অসম, বিহারের মতো রাজ্যের সরকারি ও বেসরকারি স্কুলগুলোও প্রজাপতি উদ্যানকেই বেছে নিচ্ছেন বলে দাবি বন দফতরের। সেখানে তাদের হাতে কলমে প্রজাপতির জীবনচক্রও দেখানো হয়।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
প্রজাপতি উদ্যানের ইনচার্জ তোমাঘ্ন সেনগুপ্ত বলেন, “শীতের মরশুমে প্রচুর পাখি আসে। যার কারনে বিশেষ করে ছুটির দিনগুলোতে প্রচুর সংখ্যক পর্যটকেরা ভিড় জমান এখানে। এর পাশাপাশি, উদ্যানটি জঙ্গল লাগোয়া হওয়ায় মাঝে মধ্যেই এখানে হরিণ, বন মোরগ, বুনো খরগোশের মতো প্রাণীদেরও দেখা পাওয়া যায়। যা বাড়তি প্রাপ্তি পর্যটকদের কাছে।”





