এছাড়াও কাঠের বিভিন্ন সামগ্রী থেকে বিভিন্ন প্রকারের মিষ্টান্ন বিক্রি হয় এই মেলায়। পরিবারের বর্তমান সদস্য রুরেন্দ্রু রায় বলেন, পূর্বপুরুষদের আমল থেকেই পুজা উপলক্ষে মেলা বসে এখানে। সেই রীতি এখনও বহাল রয়েছে। শুধুমাত্র মালদাহ জেলা নয় আশেপাশের জেলাগুলি থেকেও প্রচুর মানুষ এই মেলা ও প্রতিমা দেখতে ভিড় করেন। এক সময় এই মেলা মাটির জিনিসপত্রের জন্য বিখ্যাত ছিল। তবে বর্তমানে মাটির জিনিসপত্রের কদর কমেছে। তাই আর মাটির সামগ্রী বিক্রি হয় না। তবে এই মেলায় এখনো গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী বিভিন্ন সামগ্রী পাওয়া যায়। বর্তমানে সরকারি ভাবে সপ্তাহব্যাপী চলে মেলা। তবে কাঠের দোকান সহ ভাটের খই সহ বিভিন্ন দোকান এক মাস ধরে থাকে।
advertisement
আরও পড়ুন: মেলায় খোলা পোশাকে মেয়েদের চটুল নাচ! ভাইরাল ভিডিও ঘিরে শোরগোল মালদহে!
পরিবারের বর্তমান প্রজন্ম জানান এই পুজোর সূচনা করেছিলেন কালু সাহা। ইংরেজ আমলে এই পুজোর সূচনা করেছিলেন। কালু সাহা উত্তরপ্রদেশের থেকে মালদহে এসেছিলেন। এখানে এসে জমিদারি শুরু করেন। পরবর্তী প্রজন্ম এই পুজো এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। পরবর্তীতে সাহা পদবী বদলে রায় উপাধি পায়। বর্তমান পরিবারের সদস্য রুরেন্দ্রু রায় বলেন, পুজো ঠিক কত প্রাচীন আমাদের জানা নেই। বংশ পরস্পর হয়ে আসছে আমাদের এই পুজো। পূর্ব পুরুষদের মুখে যেটুকু শুনেছি পরিবারের ব্যবসা বাণিজ্যের মঙ্গল কামনায় এই পুজোর সূচনা হয়েছিল। তারপর থেকে হয়ে আসছে এই পুজো, আমরা বর্তমান প্রজন্ম এই পুজোর দায়িত্ব সামলাচ্ছি। পরবর্তীতে মনমোহন সাহা এই পুজোর মন্দিরের স্থাপন করেন। তখন থেকে ঠাকুর দালানে পুজো হয়ে আসছে। আজো নিষ্ঠার সঙ্গে বাঁকে বিহারীর পুজো হয়ে আসছে ফুলবাড়ি রায় পরিবারের। বহু দূরান্ত থেকে এখানে ভক্তদের সমাগম ঘটে মেলা দেখার জন্য।
হরষিত সিংহ