প্রতিষ্ঠানটির প্রধান বিজ্ঞানী অরুণ শীট জানিয়েছেন, “এই উদ্যোগের মাধ্যমে স্থানীয় চাষিদের কোকো চাষে উৎসাহিত করা হবে। আশির দশক থেকে জলপাইগুড়ির মোহিতনগরে অবস্থিত এই কেন্দ্রীয় গবেষণা ইনস্টিটিউট কোকো, নারকেল, সুপারি ও পাম ওয়েল চাষের ওপর গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছে। এবার ক্যাডবেরির সঙ্গে যুক্ত হয়েছে আরেক আন্তর্জাতিক কনফেকশনারি সংস্থা মন্ডেলেজ ইন্টারন্যাশনাল। উত্তর-পূর্ব ভারতে চকলেট উৎপাদন কারখানা গড়ার পরিকল্পনা করছে সংস্থাগুলি, যার জন্য কাঁচামাল সরবরাহ নিশ্চিত করতে কোকো চাষ বাড়ানোর ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে।”
advertisement
আরও পড়ুন: দাম বাড়লেও চিন্তা নেই! সস্তায় মিলছে সব ওষুধ, শুধু যেতে হবে এইসব দোকানে
ক্যাডবেরি জানিয়েছে, ‘প্রতি বছর ৫০ হাজার কোকো গাছের কলম চারা উত্তর-পূর্ব ভারতে সরবরাহের লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে।’ ইনস্টিটিউট সূত্রে খবর, দক্ষিণ ভারতে কোকো চাষ বেশি হলেও উত্তর-পূর্বের আবহাওয়ার সঙ্গে খাপ খাওয়াতে মাল্টি লোকেশন ওয়েদারে টিকে থাকতে পারবে এই গবেষণায় উন্নত প্রজাতির কোকো গাছ। তিন বছরের মধ্যে ফলন দিতে সক্ষম হবে এই চারাগুলি।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, কোকো চাষের সম্প্রসারণে কৃষকদের নতুন সম্ভাবনার দোরগোড়ায় পৌঁছে দেবে এই উদ্যোগ। চাষিরা কোকো বিক্রি করে লাভবান হতে পারবেন এবং স্থানীয়ভাবে চকলেট শিল্পের বিকাশের পথ সুগম হবে। কেন্দ্রীয় কাজু ও কোকো উন্নয়ন বোর্ডের সঙ্গে ক্যাডবেরির চুক্তির ফলে উত্তর-পূর্ব ভারতে কোকো চাষ যে নতুন মাত্রা পেতে চলেছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
সুরজিৎ দে





