ডক্টর পার্থ কর্মকার (ডেপুটি সেক্রেটারি ওয়েস্ট বেঙ্গল বোর্ড অফ প্রাইমারি এডুকেশন ) জানান, প্রাইমারি টিচার্স রিক্রুটমেন্ট বোর্ড এর ইন্টারভিউ ছিল। আজ উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার একটি ছেলে বাপ্পা দেবনাথ সেকেন্ড হাফে এসেছিল। আজকে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার জন্য ইন্টারভিউয়ের জন্য এসেছিলেন সেখানে সেকেন্ড হাফে এসেছিল আসার পর দেখা যাচ্ছে যে ডিপ্লোমা ইন এলিমেন্ট্রিএডুকেশন এর যে সার্টিফিকেট যেটা দেখাচ্ছে ২০১৬ সালের রেজিস্ট্রেশন সেই সার্টিফিকেটটা ভুয়ো। এডমিট সার্টিফিকেট রেজিস্ট্রেশন সব ভুয়ো। আমরা তাকে ধরেছি পরীক্ষা দিতে দিইনি।
advertisement
আরও পড়ুন: তিনদিন ধরে খোঁজ ছিল না! হঠাৎ এলাকায় ব্যাপক দুর্গন্ধ! কী ঘটল বর্ধমানে? জানুন
আমরা যথাযথ ব্যবস্থা নিচ্ছি পুলিশের হাতে তুলে দিচ্ছি। আমাদের সন্দেহ হয়েছে যে ভেরিফিকেশন টেবিলে যারা ছিলেন তারাই আমাকে বলেন সার্টিফিকেটটা কেমন লাগছে।সঙ্গে সঙ্গে আমাদের যে পি টি টি আই সেল আছে সেই সেকশনের যারা ইনচার্জ আছেন তাদেরকে ডাকলাম। এরপর নদীর রেকর্ড সবকিছু দেখা হলো। দেখা গেল ওই নামে ২০১৬ সালে যে রেজিস্ট্রেশন নম্বর রয়েছে সেই নামে সেই নম্বরে কোন রেজিস্ট্রেশন নেই। এবং যে কলেজের নাম লেখা আছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার রেনুকা প্রাইমারি টিচার ট্রেনিং ইনস্টিটিউট এই নামে সার্টিফিকেট বেরিয়েছে।
আরও পড়ুন: বাড়ির সীমানা থেকে রহস্যজনক আওয়াজ শোনা যাচ্ছিল! কাছে যেতেই একী দেখলেন ব্যক্তি!
যেহেতু আমাদের সেকশন অথরিটি বলে দিয়েছে এই রেজিস্ট্রেশন ভুয়ো। এই ছেলেটি ২০১৪ সালের টেট কোয়ালিফাইড বলছে। সে তার ডিয়েড পরীক্ষার সার্টিফিকেট দেখাচ্ছে সেটা আমরা বুঝলাম কি করে কালার আলাদা ম্যাচ করছে না, অন্যরকম সই রয়েছে পেপারটা আলাদা রয়েছে, আবার সেই ল্যামিনেশন করে নিয়ে এসেছে তাতে সন্দেহটা বেড়েছে আমাদের। আমরা দেখলাম ২০১৪ টেট কোয়ালিফাইড।উত্তর ২৪ পরগনার গাইঘাটার মরাল ডাঙ্গাতে বাড়ি এই যুবকের। পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হবে পুলিশ এবার পুলিশের কাজ করবে। এবার পুলিশ অনুসন্ধান করে দেখবে সার্টিফিকেটটা কোথা থেকে এলো কিভাবে এলো সেই সমস্ত বিষয়। ইতিমধ্যেই পুলিশ ভুয়ো চাকরিপ্রার্থীকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছে অন্যদিকে গোটা ঘটনা তদন্ত শুরু করেছে।
অনুপ চক্রবর্তী