অপ্রয়োজনীয় কচুরিপানা থেকেই বিশেষ প্রক্রিয়ায় তৈরি করা হচ্ছে রাখি। আর এই কচুরিপানা সংগ্রহ করার ফলে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকছে জলাশয়ও। পরিবেশ সচেতনতার বার্তা দেওয়ার পাশাপাশি অব্যবহৃত কচুরিপানাকেই ব্যবহারযোগ্য করে তোলা হচ্ছে বিশেষ পদ্ধতিতে। আর এই কাজ করে স্বনির্ভর হচ্ছেন গ্রামের মহিলারাও। জলাশয় থেকে কচুরিপানা তুলে এনে তা সূর্যের আলোতে শুকিয়ে কয়েকদিন বস্তায় ভরে রেখে, বিশেষ পদ্ধতিতে আঁশ ছাড়িয়ে তৈরি করা হচ্ছে কাগজ। এবার সেই কাগজ ব্যবহার করেই তৈরি করা হচ্ছে নানা ধরনের সুন্দর রাখি। শুধু কাগজ নয়, তার সঙ্গে ব্যবহার করা হচ্ছে শস্য, বিভিন্ন বীজ, চুমকি পেন্সিলের গুঁড়ো-সহ আরও নানা জিনিস। এভাবেই মহিলাদের হাতের কাজে কচুরিপানায় তৈরি রাখি বিক্রির জন্য পৌঁছে যাবে বাজারে। আর তাই চলছে শেষ মুহূর্তের চূড়ান্ত ব্যস্ততা।
advertisement
১৫ জন মহিলা এখন সকাল বিকেল কাজ করে যাচ্ছে রাখি তৈরিতে। ইতিমধ্যে অর্ডারও মিলেছে কচুরিপানার রাখির। কচুরিপানার রাখিতে সকলের উৎসাহ বাড়াতে মাত্র কুড়ি টাকা থেকে দেড়শ টাকা পর্যন্ত দামের এই রাখি তৈরি করা হচ্ছে। পাশাপাশি এই কচুরিপানা ব্যবহার করে মহিলারা তৈরি করছেন ঘর সাজানোর জিনিস থেকে শুরু করে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসও। তাই শুধু ভাইকে রাখি পরিয়ে নয়, চাইলে উপহার হিসেবে ঘর সাজানোর জিনিস থেকে শুরু করে ডায়রি-অনেক কিছুই দিতে পারবেন এই কচুরিপানার তৈরি আইটেম দিয়ে।