আরও পড়ুন: বাবার দেওয়া ‘অচল’ পয়সা থেকেই নেশা, তারপর এত বছর ধরে যা করছেন এই শিক্ষক!
বৃষ্টি থেমে গেলেও এখনও হাবড়া পুর এলাকা থেকে জমা জল নামেনি। ফলে জমা জলেই দিন কাটাতে হচ্ছে শতাধিক পরিবারকে। ভোগান্তিতে পড়েছেন এলাকার মানুষজন। যার মধ্যে সব থেকে বেশি সমস্যায় পড়েছেন শ্রীপুর পূর্বপাড়া, পশ্চিম কামারথুবা এলাকার মানুষ। জলমগ্ন এলাকার কিছু জায়গায় নেই কোনও নিকাশি ব্যবস্থা। কয়েক জায়গায় ড্রেন নজরে পড়লেও সেখান দিয়ে জল পাস হয় না। ড্রেনে জল আটকে বছরের অধিকাংশ সময়ই দুর্গন্ধ বের হয়। এরফলে এলাকায় কীটপতঙ্গ ও মশার উপদ্রব বাড়ছে বলে এলাকাবাসীদের দাবি।
advertisement
টানা বৃষ্টির জেরে এলাকার সমস্ত ড্রেনের জল উঠে এসেছিল রাস্তায়। নিকাশি ব্যবস্থা সঠিকভাবে না থাকায় জল দাঁড়িয়ে গিয়েছে। এদিকে বৃষ্টি থামলেও সেই জল নেমে যায়নি। বেশ কিছু বাড়ির উঠোনেও এখনও দাঁড়িয়ে আছে জল। সেই জমা জলেই মশার লার্ভা বাড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। ওই এলাকার বাসিন্দারা জানান, প্রতিবছরই এই জল যন্ত্রণায় তাঁদের ভুগতে হয়। এর ফলে বিভিন্ন ধরনের বিষাক্ত কীটপতঙ্গ, পোকামাকড়, সাপ ও জোঁকের সমস্যা বেড়েছে এলাকায়। এই জল যন্ত্রণা থেকে চিরতরে মুক্তি পেতে চায় হাবড়া এই জলবন্দী এই মানুষেরা। অনেকর বাড়িতেই ছোট ছোট বাচ্চা আছে, তাই দুর্ঘটনার আশঙ্কাও রয়ে যাচ্ছে।
পুরবাসীদের একাংশের এই জল যন্ত্রণা প্রসঙ্গে হাবড়ার পুরপ্রধান নারায়ণচন্দ্র সাহা জানান, বর্ষায় কয়েকটি নিচু জায়গায় জল জমেছে। ইলেকট্রিক পাম্পের সাহায্যে জল বের করার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এখন কবে জল যন্ত্রণা থেকে চিরতরে মুক্তি মিলবে, সেই অপেক্ষাতেই স্থানীয় প্রশাসনের দিকে তাকিয়ে জলবন্দী মানুষগুলো।
রুদ্রনারায়ণ রায়