এবার আসা যাক গোস্বামী পরিবারের কথায়। দুই ছেলে মেয়ে নিয়ে ছিল অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক ড: নিমাই চন্দ্র গোস্বামীর সংসার। ছেলে-মেয়ে পড়াশোনার কারণে কলকাতায় থাকত। তবে স্ত্রী বৈশালী গোস্বামী স্বামীর সঙ্গেই থাকতেন সিউরি বাড়িতে। করোনা কালীন পরিস্থিতির মাঝেই মৃত্যু হয় ডঃ নিমাই চন্দ্র গোস্বামীর।প্রিয় মানুষটিকে হারিয়ে ভেঙে পড়েছিলেন গোস্বামী পরিবার। বাবা কে হারিয়ে ছেলে সৌমদীপ ডিপ্রেশনে চলে যায়। মানসিক পরিস্থিতি সুস্থ করতে অবশেষে গুগলের মাধ্যমে শুরু হয় খোঁজ।
advertisement
আরও পড়ুন: অরিজিৎ সিংয়ের স্কুল! জন্মদিনে কী জানালেন তাঁর স্কুলের শিক্ষিকা! কুর্নিশ এমন ছাত্রকে!
তখনই মেলে রাজ্যের সিলিকনের অন্যতম শিল্পী সুবিমল বাবুর শিল্পকর্মের কথা। শিল্পীর হাতের তৈরি একের পর এক কাজ দেখতে থাকেন তারা, এবং এরপরেই সিদ্ধান্ত নেন এভাবেই প্রিয় জনকে ফিরিয়ে আনা সম্ভব। যোগাযোগ করেন সিলিকন শিল্পী সুবিমল দাস এর সঙ্গে। নিমাই বাবুর একটি ছবি দিয়ে মূর্তি তৈরির প্রস্তাব দেওয়া হয় পরিবারের তরফ থেকে। এরপর দীর্ঘ বেশ কয়েক মাস ধরে নিখুঁত হাতের কাজে ফুটিয়ে তোলা হয়, প্রয়াত নিমাই বাবুর হুবহু মূর্তি। আর তারপরই বাংলা নতুন বছরে প্রিয়জনকে কাছে পেল পরিবার। সামনে থেকে দেখলেও সহজে কেউ বুঝতে পারবেন না, মনে হবে জীবন্ত। মূর্তিটি দেখে রীতিমতো আনন্দে ফেটে পড়লেন গোস্বামী পরিবার।
আরও পড়ুন:
আপাতত কলকাতার বাড়িতেই রাখা থাকবেন নিমাই বাবুর সিলিকনের এই মূর্তি। পরে নিয়ে যাওয়া হবে নিমাই বাবুর প্রিয় বাসস্থান সিউরির বাড়িতে বলেও পরিবারের তরফ থেকে জানা গিয়েছে। গোস্বামী পরিবারের তরফ থেকে জানানো হয়, এইভাবে যাদের প্রিয়জন হারিয়ে গিয়েছে তারাও চাইলে প্রিয় জনকে কাছে রাখতে পারেন চিরদিন। সিলিকন দিয়ে মূর্তি তৈরি করতে গেলে খরচ হবে প্রায় পৌনে তিন লক্ষ্য টাকার মত। হারানো প্রিয়জনকে এভাবে কাছে পেয়ে খুশি গোটা পরিবার।
Rudra Narayan Roy