স্বরূপনগরের শাঁড়াপুল-নির্মাণ পঞ্চায়েতের একেবারে সীমান্তবর্তী গ্রাম রাঘবকাটি। এখানে গত ১৫ বছর ধরে ৩৩৯ নম্বর অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রটি চলছিল। গ্রামের প্রসূতি থেকে শুরু করে ৫ বছর বয়স পর্যন্ত শিশুদের সমস্ত ধরনের পরিষেবা দেওয়ার কাজ করছিল এটি। সদ্য মা হওয়া মহিলাদের পাশাপাশি সদ্যোজাত থেকে পাঁচ বছর বয়স পর্যন্ত বাচ্চাদের পুষ্টিকর খাবার নিয়মিত দেওয়া হতো এখান থেকে। এই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের দায়িত্ব থাকা সেলিমা খাতুনের সঙ্গে গ্রামবাসীদের এক আত্মিক বন্ধন গড়ে উঠেছিল। কিন্তু হঠাৎই উপরমহল থেকে নির্দেশ এসেছে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রটি ১ কিলোমিটার দূরের নলবড়া গ্রামে তুলে নিয়ে যাওয়া হবে। তা জানতে পেরেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন সীমান্তবর্তী এই গ্রামের প্রায় ৫০ জন মহিলা।
advertisement
আরও পড়ুন: ‘দল থেকে তাড়িয়ে দেব’, কাকে এমন বললেন শুভেন্দু? তোলপাড় পড়ল বিজেপিতে
গ্রামবাসীদের অভিযোগ, এক কিলোমিটার দূরে অন্য গ্রামে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রটি চলে গেলে রাঘবকাটির মহিলা ও শিশুরা উপযুক্ত পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হবে। কারণ অতদূর হেঁটে গিয়ে পরিষেবা নেওয়া অনেকের পক্ষেই সম্ভব হবে না। তাছাড়া নলবড়া গ্রামে যেতে গেলে তাঁদের বড় রাস্তার উপর দিয়ে যেতে হবে। এদিকে সীমান্তবর্তী এলাকার এই রাস্তা দিয়ে প্রতি মুহূর্তে পণ্যবাহী বড় বড় গাড়ি যাতায়াত করে। তাই দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকে বলে গ্রামের মহিলাদের দাবি। এই পরিস্থিতিতে তাঁরা চান রাঘবকাটি গ্রামেই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রটি রেখে দেওয়া হোক।
অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র অন্যত্র স্থানান্তর প্রসঙ্গে দায়িত্বে থাকা সেলিমা খাতুন বলেন, দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে এটি চলছে। হঠাৎ করে স্বরূপনগরের চাইল্ড ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট অফিসারের দফতর থেকে নির্দেশ আসে কেন্দ্রটি এক কিলোমিটার দূরে নলবড়ায় নিয়ে যাওয়া হবে। যদিও তাঁর এখানে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র চালাতে কোনও সমস্যা হচ্ছিল না বলে জানিয়েছেন সেলিমা খাতুন।
জুলফিকার মোল্লা