এ বছর উত্তীর্ণ হতে পারেননি ৪ লক্ষ ৬৮ হাজার ৫৪৯ জন। ২০২২ সালের টেট পরীক্ষায় মোট ৬৯৪০৮ জন ছাত্রী উত্তীর্ণ হয়েছেন যা মোট পাশের হারের ৪৬.১২১% এবং মোট ৮১০৭৭জন ছাত্র পাশ করেছে, যার পাশের হার মোট উত্তীর্ণের ৫৩.৮৭৫ শতাংশ। এ ছাড়াও ৬ জন অন্যান্য পরীক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়েছেন। এই বছরের মেরিট লিস্টে এক থেকে ১০ নম্বর স্থানে জায়গা করে নিয়েছে ১৭৭জন।
advertisement
আরও পড়ুন: চাকরি ছেড়ে একাই পরীক্ষার প্রস্তুতি, প্রথম বার টেট দিয়েই রাজ্যে প্রথম বর্ধমানের ইনা
এ বছর স্বচ্ছতার জন্যে রেজাল্টের সঙ্গে ওএম আর শিট আপলোড করা হবে বলে জানানো হয়েছে পর্ষদের তরফ থেকে। পর্ষদের ওয়েবসাইটে গিয়ে পরীক্ষার্থীরা রেজাল্টের লিংকে ক্লিক করে সেখানে রেজিস্ট্রেশন নম্বর এবং জন্মের তারিখ দিয়ে এন্টার করলেই পরীক্ষার্থী পাঁচটি বিভাগে কত নম্বর পেয়েছেন সেটি ফুটে উঠছে। পাশাপাশি যে ওএমআর পেজে পরীক্ষা দিয়েছিলেন সেটিও দেখা যাচ্ছে।
পর্ষদের পক্ষ থেকে পরীক্ষার পর পরীক্ষার্থীদের জন্যে একটি চ্যালেঞ্জ পোর্টাল চালু করা হয়। সেখানে কোনও প্রশ্নের ভুল থাকলে আবেদন করতে পারতেন ছাত্র ছাত্রীরা। সেই পোর্টালে আসা অভিযোগের ভিত্তিতে মোট চারটি প্রশ্নের নম্বর সব পরীক্ষার্থীদের পর্ষদের পক্ষ থেকে দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও অন্য চারটি প্রশ্নের ক্ষেত্রে পরীক্ষার্থীদের বেনিফিট দেওয়া হয়েছে বলে জানান পর্ষদ সভাপতি।
আরও পড়ুন: টানা ২৮ ঘণ্টা পতাকা বিড়ি কারখানায় তল্লাশি, কী পেল আয়কর দফতর?
এবছর টেট পরীক্ষায় প্রথম হয়েছেন পূর্ব বর্ধমানের ইনা সিনহা। যার মোট প্রাপ্ত নম্বর ১৩৩। দ্বিতীয় স্থানে, ১৩২ নম্বর নিয়ে রয়েছে চার জন। হুগলির মৌনিশা কুন্ডু, পশ্চিম মেদিনীপুরের মেঘনা চক্রবর্তী, দীপিকা রায় এবং পূর্ব মেদিনীপুরের অদিতি মজুমদার। এবছর ১৩১ নম্বর পেয়ে তৃতীয় হয়েছেন চার জন। যাদের মধ্যে উত্তর ২৪ পরগনার মেহেদী হাসান, বিকাশ ভট্ট, পশ্চিম মেদিনপুরের মনামি অধিকারী ও বাঁকুড়ার প্রহ্লাদ মন্ডল রয়েছে। স্কুটিনির জন্যে সামান্য সময় রাখা হয়েছে তারপর সার্টিফিকেট দেওয়া হবে বলে জানান পর্ষদ সভাপতি।
রুদ্র নারায়ণ রায়