সীমান্ত শহর বনগাঁর বর্ণপরিচয় অডিটোরিয়ামে এই নাট্যমেলার আসর বসেছিল। গাঁড়াপোতা শপ্তকের এবারের নাট্যমেলার মূল ভাবনা ছিল সবুজের অভিযান। উল্লেখ্য বাংলা থিয়েটারের জগতে বনগাঁর মত সীমান্তবর্তী শহরের দল হয়েও গাঁড়াপোতা শপ্তক নিজস্ব এক জায়গা তৈরি করে নিয়েছে।
এবারের নাট্যমেলার উদ্বোধন করেন তরুণ নাট্যকর্মী তথা চলচ্চিত্র অভিনেতা উজান চট্টোপাধ্যায়। তাঁর পাশাপাশি এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নাট্য ও সাহিত্যচর্চার বহু বিশিষ্ট মানুষ। গাঁড়াপোতা এলাকার নবাগতা অভিনেত্রী মৌসুমী দালালকে বিশেষ সম্মান প্রদান করা হয়।
advertisement
আরও পড়ুন: পাস করলেও সাত বছরে নিয়োগ হয়নি! ধৈর্যের বাঁধ ভাঙল চাকরিপ্রার্থীদের
নাট্যমেলার প্রথম দিনেই বেলঘড়িয়া অভিমুখের বিখ্যাত প্রযোজনা 'কোজাগরী' নাটকটি মঞ্চস্থ হয়। বর্তমান সময়ের প্রেক্ষাপটে দাঁড়িয়ে নির্মিত এই প্রযোজনাটি। শত হুমকি ও প্রলোভনের মুখে দাঁড়িয়ে এক কলেজ শিক্ষকের সামান্য থেকে অসামান্য হয়ে ওঠার গল্প তুলে ধরে কোজাগরী। এই প্রযোজনা দর্শকের মনে প্রতিবাদের বীজ বুনে দিতে সক্ষম।
এছাড়াও এই নাট্য মেলায় মঞ্চস্থ হয় শান্তিপুর সাংস্কৃতিকের রক্ত উপখ্যান, বনগাঁ ধুলাউড়ানিয়ার প্রযোজনায় A Journey of স্পার্টাকাসের মত সাড়া ফেলা সব নাটক। এছাড়া আয়োজক সংস্থা গাঁড়াপোতা শপ্তকের নিজস্ব প্রযোজনা Comfort zone ও মরে গেলি অরুণেশ-ও মঞ্চস্থ হয়!
এবারের নাট্যমেলায় শিশুদের কথা মাথায় রেখে ছোটদের নাটকও মঞ্চস্থ হয়েছে। রুপাই সাজুর কথা, কালের যাত্রা সহ বেশ কিছু শিশু নাটক দেখা গিয়েছে ফেস্টিভ্যালে। আন্তঃ বিদ্যালয় নাট্য প্রতিযোগিতারও আয়োজন করা হয়। তাতে অংশ নেয় পাঁচটি স্কুল। ছাত্র-ছাত্রীদের নাট্যচর্চা রীতিমতো মুগ্ধ করে নাট্যপ্রেমীদের। প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকার করে বনগ্ৰাম উচ্চবিদ্যালয়, দ্বিতীয় হয় কালুপুর পাঁচপোতা উচ্চবিদ্যালয় ও তৃতীয় চাঁদপাড়া বানী বিদ্যাপিঠী। সকলকে পুরস্কৃত করা হয়।
গাঁড়াপোতা শপ্তকের আয়োজিত প্রতি বছরের নাট্যমেলা বনগাঁর অন্যতম উৎসবে পরিণত হয়েছে।
রুদ্রনারায়ণ রায়