একদমই অজ্ঞাত পরিচয় বলা যাবে না কারণ নাম পরিচয় দিয়েই হাসপাতালে ভর্তি করিয়েছিলেন অসুস্থ স্বামীকে। হাসপাতাল সূত্রে জানা যায় চলতি মাসের ১৯ তারিখ দুপুরে উত্তর চব্বিশ পরগনার বিরা জয়পুলের বাসিন্দা অঞ্জু পাল "স্ত্রী,পরিচয় দিয়ে ষাটোর্ধ্ব অসুস্থ স্বামী বাবু পাল নামে এক ব্যক্তিকে হাবড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করান। ওই দিন বিকেলেই তার স্বামী বাবু পাল হাবড়া হাসপাতালে মারা যান। কিন্ত ওই ব্যাক্তির মৃত্যুর পরে তাঁর স্ত্রী বা কোনও আত্মীয় পরিজনের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেননি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। মৃতের পরিবারের কোনও সন্ধান না মেলায় ছ'দিন ধরে মৃত দেহ রাখা রয়েছে হাবড়া হাসপাতাল মর্গে।
advertisement
আরও পড়ুন - '৬০ দিন ছাড়ুন, রাস্তায় আমাদের মতো তাঁবু খাটিয়ে ৬ দিন থাকুন!' চ্যালেঞ্জ অভিষেকের
আরও পড়ুন - শুভেন্দুর সঙ্গে হোটেলে গোপন বৈঠক চার তৃণমূল নেতার? পোস্টারে ছয়লাপ তমলুক
হাবড়া হাসপাতালের সুপার বিবেকানন্দ বিশ্বাস জানিয়েছেন, স্ত্রীর পরিচয় দিয়ে অঞ্জু দেবী তার স্বামী বাবু পালকে পায়ে পচন ধরা অবস্থায় হাবড়া হাসপাতাল নিয়ে এসেছিল সঙ্গে সঙ্গে ভর্তিও করে নেওয়া হয়। ডকুমেন্টস না আনলে যে চিকিৎসা শুরু হবে না তা তো নয়,তাই নাম পরিচয় নিয়েই তড়িঘড়ি রুগীকে ভর্তি করানো হয় - এমনকী ছিল না কোনো ফোন নম্বর।
ইতিমধ্যেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বীরা, জয়পুল এলাকার পার্শ্ববর্তী হাবড়া থানা এবং দত্তপুকুর থানারভারপ্রাপ্ত আধিকারিকদের বিষয়টি জানিয়েছেন, কিন্ত প্রশাসনের পক্ষ থেকে চেষ্টা করেও ওই এলাকায় ওই নাম পরিচয়ের কারওর খোঁজ মেলেনি।এমনকি বিষয়টি জানানো হয়েছে মহাকুমা শাসককে - এছাড়াও জেলার বিভিন্ন স্বাস্থ্য বিভাগে বিষয়টি জানানো হয়েছে।
যেহেতু নাম পরিচয় দিয়েই রুগীকে ভর্তি করা হয়েছিল সেহেতু মৃত ব্যক্তিকে অজ্ঞাত পরিচয়ের ব্যক্তিও বলা যাবে না এমনকি এই মুহূর্তে করা যাবে না মৃতদেহের সৎকার। এই ঘটনায় যে চরম বিপাকে পড়েছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ একপ্রকার সেই কথা স্বীকার করে নিয়ে হাবড়া হাসপাতাল সুপার বিবেকানন্দ বিশ্বাস৷ মৃত ব্যাক্তির চেহারার বিবরণ দেওয়ার পাশাপশি তিনি বলেন আমরা চাই পরিবারের লোকজন এসে মৃতদেহ নিয়ে যাক। এমনকি কে বা কারা বাবু পালকে হাসপাতালে নিয়ে এলেন সেটা জানতে হাসপাতালের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখা হবে বলেও সুপার । প্রশ্ন উঠছে- তাহলে কি এর পিছনে কোন রহস্য আছে? প্রশ্ন উঠছে তাহলে কি বৃদ্ধকে হাসপাতালে ভর্তির সময় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে ইচ্ছাকৃত ভুল ঠিকানা দেওয়া হয়েছে? ঘুরপাক খাচ্ছে হাজার প্রশ্ন।
জিয়াউল আলম






