অভিযুক্ত স্বামী সৌম্য দত্তকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পরিবারের অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই নানা ভাবে সোনা ও টাকার জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছিল সুনিতাকে। শ্বশুরবাড়ির তরফে প্রায় ৫ লক্ষ টাকা দাবি করা হয়েছিল বলে দাবি মৃতার পরিবারের। সেই টাকা দিতে না পারায় শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার চলছিল। কয়েক দিন আগেও মেয়ের চাপে পড়ে পরিবার ১০ হাজার টাকা দেয়। স্বামীর ব্যবসা ভাল চলছে না– এই অজুহাতে ওই টাকা চাওয়া হয়েছিল।
advertisement
আরও পড়ুন: চাকরিহারারা ৩১ ডিসেম্বরের পরিবর্তে ৩১ অগাস্ট পর্যন্ত বেতন-সহ কাজ করতে পারবেন: সুপ্রিম কোর্ট
পরিবারের আরও অভিযোগ, সৌম্য দত্ত একাধিকবার সুনিতাকে হুমকি দিয়েছিলেন। এমনকী তাঁর বাবা পার্ক স্ট্রিট থানার সাব-ইন্সপেক্টর হওয়ায় কেউ তাঁদের কিছু করতে পারবে না বলেও জানানো হয়। সুনিতাও ফোনে পরিবারকে জানিয়েছিলেন, অত্যাচার সহ্য করা ছাড়া তাঁর উপায় নেই, কারণ শ্বশুরবাড়ির ‘অনেক বড় হাত’ রয়েছে। গতকাল হঠাৎই শ্বশুরবাড়ির তরফে সুনিতার পরিবারকে ঘটনাটির কথা জানানো হয়। পরিবারের সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে সুনিতাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
শ্বশুরবাড়ির দাবি, আত্মহত্যা করেছেন ওই গৃহবধূ। তবে এই দাবি মানতে নারাজ মৃতার পরিবার। পরিজনদের স্পষ্ট অভিযোগ, সুনিতাকে বেধড়ক মারধর করে পিটিয়ে খুন করা হয়েছে এবং ঘটনার পর তা ধামাচাপা দিতে আত্মহত্যার গল্প ফাঁদা হচ্ছে। তাঁদের দাবি, দেহে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে, এমনকী গরম কিছু দিয়ে ছ্যাঁকা দেওয়ার দাগও দেখা গেছে, যা কল্পনার বাইরে।
মৃতার পরিবারের আরও অভিযোগ, অভিযুক্তদের পরিবারের এক সদস্য পুলিশে কর্মরত হওয়ায়, অভিযোগে নাম থাকা সত্ত্বেও শশুর শাশুড়িকে গ্রেফতার করা হচ্ছে না। ঘটনার পিছনে পরিকল্পিত ভাবে টাকা ও গয়নার লোভে খুন করা হয়েছে বলেই দাবি তাঁদের। এই ঘটনায় অভিযুক্ত স্বামী সৌম্য দত্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবে পরিবারের তরফে সকল অভিযুক্তের গ্রেফতার এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানানো হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।






