নতুন প্রজন্মের ছেলেমেয়েদের কাছে ফ্যাশন ও পার্সোনালিটি তুলে ধরার এক অন্যতম মাধ্যম হয়ে ওঠে শরীরের নানা অংশে ছবির মত আঁকা নানা ধরনের ট্যাটু, অক্ষর ও চিহ্ণ। নামিদামি ট্যাটু পার্লারে গিয়ে এরকম ধরনের ট্যাটু করলে কয়েক হাজার টাকার উপর খরচ পরে।
আরও পড়ুন: শীত পড়তেই হাজির পরিযায়ী পাখি, সন্দেশখালি থেকে হাড়োয়া মেছো ভেড়িতে জমাচ্ছে ভিড়
advertisement
বর্তমানে মেলা উৎসব নানা জায়গায় ট্যাটু আর্টিস্টদের দেখা যাচ্ছে রাস্তার ধারে বসেই অনায়াসে শরীরের যেকোনও অংশে একে দিচ্ছেন পছন্দের ছবি, সিম্বল ও লেখা। অতীত সময়ে অনেকেই কয়েলের মেশিনে উল্কি করতেন। বর্তমানে যুগে আধুনিকতার ছোঁয়ায় পেন পয়েন্টার যন্ত্রের দ্বারা নিখুঁত ট্যাটু ফুটিয়ে তোলা সম্ভব হয়। খরচ পড়ে মাত্র ৭০০ থেকে দেড় হাজার টাকার মত।
তবে এর থেকেও অনেক দামি ট্যাটু রয়েছে, যা করতেও নিখুঁত কারুকার্যের প্রয়োজন পরে। পিঁপড়ে কামড়ানোর মতোই অনুভব হয় বলে জানালেন ট্যাটু করতে আসা এক যুবক। যদিও ট্যাটু শিল্পীর দাবি, ট্যাটু করতে যে রং ব্যবহার করা হয় তাতে কোনো রকম ক্ষতি হয় না শরীরের।
যদিও বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, ট্যাটু আঁকার রঙে আর্সেনিক, বেরিলিয়াম, ক্যাডমিয়াম, পারদ, সীসার মতো অনেক যৌগের ব্যবহার থাকে। যা হার্ট, লিভার, ফুসফুস, কিডনির ক্ষতি করতে পারে। যদিও এই বিষয়গুলিকে উপেক্ষা করেই এখন দেখা যাচ্ছে বহু মানুষই ট্যাটুতে আকৃষ্ট হচ্ছেন, আর নামিদামি ট্যাটু পাল্লার ছেড়ে কম টাকার এই ট্যাটু শিল্পীদেরই বেছে নিচ্ছেন শরীরে ট্যাটু আর্ট এর জন্য।
Rudra Narayan Roy