স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, স্থানীয় অঞ্চলে নির্মাণ কার্যের জন্য একটি বটগাছ ও পুরনো মন্দির লাগোয়া এলাকায় চলছিল জেসিবি দিয়ে মাটি কাটার কাজ। তখনই হঠাৎ মাটির নিচ থেকে বেরিয়ে আসে ফনাতোলা তিনটি সাপ। দুটি সাপ কালো রঙের হলেও একটি সাপ ছিল পুরো সাদা রঙের বলেই জানান প্রত্যক্ষদর্শীরা। আর সেই সাপের ভয়ংকর রূপ দেখেই মাটি কাটা ফেলে পালান সকলে। ঘটনার মুহূর্তের সেই দৃশ্য দেখে অসুস্থ হয়ে পড়েন জেসিবি ড্রাইভারও বলে জানা গিয়েছে।
advertisement
এর কিছু সময় পরই, স্থানীয়রা দেখেন বট গাছের কেটে যাওয়া শিকড়ের অংশ থেকে বের হচ্ছে জল। যা এখনও বের হচ্ছে বলেও জানান এলাকাবাসীরা। এর পরই বিষয়টি অলৌকিক ঘটনা আকারে ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকায়। মুহূর্তে জড়ো হয়ে যান বহু মানুষ। খবর ছড়িয়ে পড়ে গ্রামের পর গ্রাম। শুরু হয় পূজা অর্চনা, ভোগ নিবেদন, হোম যজ্ঞ।
স্থানীয়দের দাবি, প্রাচীন ওই বটগাছের নীচে ছিল মন্দির, হত পুজো। তবে অজানা কারণে বন্ধ হয়ে যায় পুজো। প্রচলিত বিশ্বাস, এদিন সেই বটগাছেই আঘাত পরতে, রুষ্ট হন দেবী। তাই মাটির তলা থেকে শ্বেত নাগ-সহ তিনটি সাপ বেরিয়ে আসে। আর দেবীর কষ্টের কান্নার জলস্বরূপ গাছের শিকড় থেকে বেরতে থাকে লাল নীল সাদা জল। সেই জল সংরক্ষণে নেমে পড়েন এলাকার মহিলারা।
বিষয়টি কয়েকদিনে জানাজানি হতে দূর-দূরান্ত থেকে মানুষজন একবার চাক্ষুষ দেখার জন্য উপস্থিত হচ্ছেন ঠাকুরনগরের ষষ্ঠী তলায়। মা মনসাকে সন্তুষ্ট করতে দেওয়া হচ্ছে দুধ কলা। স্থানীয়রা সকলেই এখন চাইছেন এখানে গড়ে উঠুক দেবীর মন্দির। এলাকা জুড়ে বর্তমানে তৈরি হয়েছে উৎসবের মেজাজ। বিষয়টি নিয়ে পূর্বের নানা ঘটনা তুলেও এলাকায় চলছে অলৌকিক এই ঘটনার প্রচার। যদিও বিজ্ঞান মঞ্চের তরফ থেকে বিষয়টি কুসংস্কার আখ্যা দিয়ে বৈজ্ঞানিক যুক্তি দেওয়া হয়েছে। তাদের দাবি, পাশেই পুকুর থাকায়, বটগাছের শিকড়ে কোনও ভাবে জল আটকে থাকার জেরে ওই স্থান থেকে বেরিয়ে আসছে। আর সাদা সাপের তত্ত্বে বিজ্ঞান মঞ্চের সদস্যরা জানান মানুষের যেমন শ্বেতী রোগ হয় তেমন সাপেরও এই রোগ হতে পারে। সেই কারণেই সাদা রং দেখিয়েছে। তবে এই ঘটনাকে ঘিরেই এখন এলাকায় চলছে উৎসব পুজো পার্বণ।