এই মেলা ঘিরে লক্ষ লক্ষ ভক্তের সমাগম হয় প্রতিবছর। ইতিমধ্যেই নানা প্রান্ত থেকে মতুয়া ভক্তরা ঠাকুর বাড়িতে আসতে শুরু করেছেন। আগামিকাল পূর্ণ তিথিতে বারুণী স্নান। তারই আগে এদিন মেলার নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখলেন বনগাঁর পুলিশ সুপার দীনেশ কুমার স্বয়ং। সঙ্গে ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুমন্ত কবিরাজ, মহকুমা পুলিশ আধিকারিক অর্ক পাঁজা, গাইঘাটা থানার ভারপরাপ্ত আধিকারিক রাখেহরি ঘোষ সহ অন্যান্য পুলিশ আধিকারিকরা।
advertisement
আরও পড়ুন: ডিজিটাল প্রচার! কিউআর কোডে টাকা নয়, দেওয়া যাবে মতামত, কোথায় ঘটছে এমন ঘটনা
এদিন হরিচাঁদ গুরুচাঁদ ঠাকুরের মন্দিরেও পুজো দেন পুলিশ সুপার। তিনি জানান, মেলায় যাতে কোন রকম অপ্রীতিকার ঘটনা না ঘটে সেদিকে নজরদারি করা হচ্ছে। পাশাপাশি ঠাকুরবাড়িতে পুলিশ কন্ট্রোল রুম তৈরি করা হয়েছে। ৫০০ পুলিশ কর্মী মোতায়েন করা হয়েছে। এবং সিসিটিভি ও ড্রোনের মাধ্যমে নজরদারি করা হবে। তৃণমূলে রাজ্যসভার সাংসদ মমতা বালা ঠাকুর ঠাকুরবাড়িতে ১৪৪ ধারা জন্য যে আবেদন করেছিলেন।
সে প্রসঙ্গে পুলিশ সুপার বলেন, ‘‘কোন ১৪৪ ধারা লাগু হয়নি। উনি আবেদন করেছিলেন, সেটা পেন্ডিং অবস্থায় রয়েছে। আমরা সমস্ত ভক্তদের নির্ভয়ে মেলায় আসার জন্য আবেদন করছি। পুলিশ সুপারের এমন অভয় বাণীর পরই বাড়তি উন্মাদনা লক্ষ্য করা যায় মতুয়া ভক্তদের মধ্যে। বেশ কয়েকদিন ধরে চলা ১৪৪ ধারা নিয়ে যে জল্পনা তৈরি হয়েছিল এদিন তাতেই যেন জল ঢাললেন পুলিশ সুপার।’’
Rudra Narayan Roy