আরও পড়ুন: কুমির সংরক্ষণের প্রয়োজনীয়তা বোঝাতে সুন্দরবনে শিবির
সম্প্রতি অশোকনগর স্টেট জেনারেল হাসপাতালের পরিষেবা নিয়ে স্থানীয় বিধায়কের ভর্ৎসনার মুখে পড়েছিলেন সদ্য প্রাক্তন সুপার রামকৃষ্ণ হেমব্রম। বারাসতে জেলাশাসকের দফতরে স্বাস্থ্য সংক্রান্ত এক বৈঠকে তাঁর কাজ নিয়ে সরাসরি প্রশ্ন তুলেছিলেন বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামী। দেখা গেল বিধায়কের সেই অভিযোগকেই মান্যতা দিল রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। আড়াই বছরের বেশি সময় অশোকনগর স্টেট জেনারেল হাসপাতালের দায়িত্বে ছিলেন রামকৃষ্ণবাবু। শেষে তাঁকে বদলি করা হল এক ব্লক হাসপাতালের দায়িত্বে।
advertisement
আপাতত অশোকনগর স্টেট জেনারেল হাসপাতালের সুপারের অতিরিক্ত দায়িত্ব সামলাবেন হাবরা হাসপাতালের সুপার বিবেকানন্দ বিশ্বাস। তাঁকে সাহায্য করার জন্য সহকারী সুপারও নিয়োগ করা হয়েছে।
অশোকনগর স্টেট জেনারেল হাসপাতালকে কোভিড হাসপাতালে রূপান্তরিত করা হয়েছিল। কিন্তু করোনা পরবর্তী পর্যায়ে এখানকার চিকিৎসা পরিষেবা নিয়ে নানান প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। হাসপাতালের যত্রতত্র নোংরা আবর্জনা পড়ে থাকা, ইমারজেন্সির পরিষেবা নিয়ে নিয়মিত অভিযোগ উঠতে শুরু করেছিল। এরফলে রোগীর সংখ্যা ক্রমশ কমতে থাকে। আর তা নিয়েই অশোকনগরের বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামী আঙুল তোলেন হাসপাতাল সুপার রামকৃষ্ণ হেমব্রমের দিকে। ক্ষোভ প্রকাশ করেন অশোকনগর কল্যাণগড় পুরসভার পুরপ্রধান প্রবোধ সরকারও। বিষয়টি নিয়ে সুর চড়িয়েছিল বিরোধীরাও। তবে এই সমস্যার সমাধান করতে গিয়ে রাজ্যস্ব স্বাস্থ্য দফতর যে পথ বেছে নিয়েছে তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে সিপিএম। একজন সুপারের উপর গুরুত্বপূর্ণ দুটি হাসপাতালের দায়িত্ব দেওয়া হল কেন তা নিয়ে এক যোগে সরব হয়েছে বিরোধীরা। তাদের অভিযোগ, সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে সরকার।
রুদ্রনারায়ণ রায়