দৈনন্দিন জীবনে চলাফেরা করা, ওষুধের পরিষেবা বা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার মতো একাধিক পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হন এই বৃদ্ধ-বৃদ্ধারা। তাই সেই নিঃসঙ্গতা বা একাকীত্ব কাটিয়ে তাদের সমস্ত রকম পরিষেবা দেওয়ার লক্ষ্যে এগিয়ে এল বসিরহাট পুলিশ জেলা। বসিরহাট ও টাকি পৌরসভার ৪২ জন নিঃসঙ্গ বৃদ্ধ-বৃদ্ধা তথা বৃদ্ধ দম্পতিদের চিহ্নিত করে তাদেরকে পরিষেবা দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হল পুলিশের পক্ষ থেকে। ‘অবলম্বন’ এই প্রকল্প থেকে পরিষেবা পাবেন সমাজের বৃদ্ধ-বৃদ্ধারা। বসিরহাট পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার ডক্টর জবি থমাস কে. বলেন, ‘যে সমস্ত বৃদ্ধ-বৃদ্ধা নিঃসঙ্গ জীবনযাপন করেন, তাদের বাড়ি বাড়ি পৌঁছে যাবে আমাদের সিভিক ভলেন্টিয়াররা। তাদের খোঁজখবর নেওয়া হবে। এমনকী তাদের কোনওরকম ওষুধ বা অন্যান্য পরিষেবা লাগবে কিনা সেগুলি সম্পর্কে তারা খোঁজ নেবেন। তারপর আমরা তার জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’ এই সমস্ত বৃদ্ধ বৃদ্ধাদেরকে পুলিশের সঙ্গে সহজে যোগাযোগের জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে তাদেরকে একটি মোবাইল নম্বরে দেওয়া হয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুন-যানজটে নাকাল বারাসত, জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণ করেও সমাধান অধরা
পুলিশের পাশাপাশি এই প্রকল্পকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে টাকি ও বসিরহাট পৌরসভা। হাসনাবাদ থানার কনফারেন্স রুমে এদিনের এই ‘অবলম্বন’ প্রকল্পের সূচনা লগ্নে বসিরহাট পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার সহ উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সৌতম ব্যানার্জি, বসিরহাটের মহকুমা শাসক মৌসম মুখার্জি, বসিরহাট পৌরসভার চেয়ারম্যান অদিতি মিত্র রায়চৌধুরী ও টাকি পৌরসভার উপ পৌর প্রধান ফারুক গাজী সহ পুলিশ ও প্রশাসনিক আধিকারিকরা। এক বৃদ্ধা বলেন, ‘তাদের সন্তানরা দীর্ঘদিন পরে পরে বাড়িতে আসে। আবার অনেক সময় আসেও না। এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে আমরা যথেষ্ট উপকৃত হব। প্রাথমিক পর্যায়ে শহর টাকি ও বসিরহাট এলাকায় এই প্রকল্প চালু হলেও আগামী দিনে বসিরহাট পুলিশ জেলার বিভিন্ন প্রান্তে এই পরিষেবা পৌঁছে দেওয়া হবে। এই ধরনের পরিষেবা পেয়ে স্বভাবতই আপ্লুত সমাজের প্রবীণরা।
জুলফিকার মোল্যা





