আরও পড়ুন: ভয়ঙ্কর স্মৃতি ভুলে আবার চুরি হচ্ছে গারুই নদী! আসানসোলের ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কা
বাংলার মধ্যে সুন্দরবন নারী পাচার ও বাল্যবিবাহে প্রথম সারিতে থাকা এলাকা। প্রতিবছর বহু শিশু, কিশোরী এমনকি মহিলারা এখান থেকে ভিন রাজ্য এমনকি ভিন দেশে পাচার হয়ে যান। এই বিষয়টি রুখতে দীর্ঘদিন ধরে তৎপর পুলিশ ও সাধারণ প্রশাসন। কিন্তু তাতে বিশাল কোনও লাভ হয়নি। তাই এবার চাইল্ড লাইনের ধারাবাহিক সাহায্য নেওয়া শুরু করেছে প্রশাসন। কারণ দেখা গিয়েছে গ্রামের সাধারণ মানুষ পুলিশের বদলে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যদের কাছে অনেক খোলামেলাভাবে নিজেদের মনোভাব তুলে ধরে।
advertisement
উত্তর ২৪ পরগনার সুন্দরবন অঞ্চলে সারা জেলার নিয়ে রেখে শিক্ষার হার অনেকটা কম থাকাটা বাল্যবিবাহের অন্যতম কারণ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এই অবস্থায় শিক্ষার হার বাড়ানোয় জোর দেওয়ার পাশাপাশি চাইল্ড লাইন অভিভাবকদের এই সংক্রান্ত বিপদগুলি সম্বন্ধে সচেতন করে তোলার কর্মসূচি নিয়েছে। সেই লক্ষ্যে হাড়োয়ায় প্রান্তিক এলাকার ছাত্র-ছাত্রী থেকে এলাকার মেয়েদের পাশাপাশি অভিভাবকদের সচেতনতা করতে কর্মসূচি নেয় তারা। এই সচেতনতা শিবিরে বাল্যবিবাহ, শিশু পাচার, মানব পাচার, নারী পাচার, গুড টাচ-ব্যাড টাচের মতো অত্যন্ত জরুরি ও স্পর্শকাতর বিষয়গুলি সম্বন্ধে ছাত্রীদের সচেতন করা হয়। পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে কিভাবে পাচারকারীদের পাতা ফাঁদে অল্পবয়সী মেয়েরা পা দিয়ে ফেলছে সেটাও তুলে ধরেন চাইল্ড লাইনের বিশেষজ্ঞরা। কীভাবে এই সমস্ত প্রতারণার ফাঁদ এড়িয়ে চলা সম্ভব সেটাও অল্পবয়সী মেয়েদের সেখান চাইল্ড লাইনের কর্মীরা।
জুলফিকার মোল্লা





