খুদে পড়ুয়াদের কোলাহলে এতদিন মুখরিত থাকত স্কুল, কিন্তু ভবিষ্যতে হয়ত আর শোনা যাবে না সেই কোলাহল। শিক্ষিকার অভাবে বন্ধ হতে চলেছে শিশু শিক্ষা কেন্দ্র। স্কুলকে বাঁচাতে পাশাপাশি ছাত্র-ছাত্রীদের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে প্রতিবাদের পথে হাঁটলেন অভিভাবকরা। দেগঙ্গা-২ পঞ্চায়েতের সাতহাতিয়া গ্রামের অভিভাবকদের মনে সন্তানদের ভবিষ্যৎ নিয়ে তৈরি হয়েছে আশঙ্কা।
আরও পড়ুন: দুই জেলার সীমান্তে শুরু হল নতুন হাট, এলাকার অর্থনৈতিক পরিস্থিতি বদলে যেতে পারে
advertisement
স্থানীয় ব্লক প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে দেগঙ্গার সাতহাতিয়া এস এস কে স্কুলের মোট ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা ১০৭ জন। শিক্ষিকা আছেন মাত্র দু'জন। তারমধ্যে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা সাইয়েদা রহিমা খাতুন দু'মাস পর অবসর নেবেন। অপর শিক্ষিকা জাহানারা খাতুন শারীরিকভাবে অসুস্থ থাকায় কিছু দিন বাদেই স্বেচ্ছা অবসর নেবেন। গ্রামবাসীদের ধারণা, এই দুই শিক্ষিকা চলে গেলে কার্যত বন্ধ হয়ে যাবে সাতহাতিয়া এস এস কে স্কুল।
দুই শিক্ষিকার একজনের অবসর এবং অপরজনের স্বেচ্ছা অবসরের কথা জানাজানি হতেই এলাকায় তৈরি হয়েছে চাঞ্চল্য। ছাত্র-ছাত্রীদের ভবিষ্যৎ নিয়ে আতঙ্কে রয়েছেন অভিভাবকরা। এই পরিস্থিতিতে সন্তানকে অন্য স্কুলে ভর্তি করাবেন বলে ইতিমধ্যেই ট্রান্সফর সার্টিফিকেট নিয়ে নিয়েছেন প্রায় ৭০ জন ছাত্রছাত্রীর অভিভাবক। কিন্তু তাদের অন্য স্কুল ভর্তি নিচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে। এরই প্রতিবাদ বিক্ষোভের পথে হাঁটলেনে অভিভাবকরা। গোটা বিষয়টি ইতিমধ্যেই উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। ওই স্কুলের বিষয়ে প্রশাসনের পক্ষ থেকে কী সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় সেদিকেই এখন তাকিয়ে আছে সকলে।
রুদ্রনারায়ণ রায়