মানরেগা প্রকল্প থেকে এই কলার চাষ করা হচ্ছে বলে জানান বারাসত ব্লক ওয়ান সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক সৌগত পাত্র। তিনি জানান, গ্রামবাংলার দিকে আয়রনের সমস্যা রয়েছে। আর লাল কলায় প্রচন্ড পরিমাণ আয়রন রয়েছে এবং পুষ্টিকর। বিভিন্ন ধরণের টিসু কালচার হয়, তেমনই লাল কলা চাষের পরিকল্পনা নেওয়া হয়। এই এলাকার মাটিতেও লাল কলা চাষ করা সম্ভব তা নিশ্চিত হয়ে চারা নিয়ে আসা হয়।
advertisement
ছোট জাগুলিয়া হাটপাড়ায় আছমা বিবির জমিতে এই চাষের পরিকল্পনা নেওয়া হয় ১০-১১ মাস আগে। সমস্ত খরচ পঞ্চায়েত থেকেই দেওয়া হয়। আছমা বিবি লাল কলার চারা পেয়ে তা জমিতে বসিয়ে চাষ শুরু করেন।১০০টির মত কলা গাছের চারা বসানো হয় জমিতে এবং প্রতিটি গাছেই আজ লাল কলার ফলন লক্ষ্য করা গিয়েছে। এখন এই লাল কলা দেখতে মানুষ আসছেন, ছবি তুলে নিয়ে যাচ্ছেন। অনেকেই আবার আছমা বিবির সঙ্গে কথা বলে চাষের পদ্ধতি জেনে নেওয়ার চেষ্টা করছেন। এই কলা খেতে যেমন সুস্বাদু, তেমনই পুষ্টিকর। এলাকার বাজারেও এই কলার চাহিদা এখন অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে।
আরও পড়ুন: 'বাড়ি ভাড়া চাই না! শরীর চাই!' বাড়ির মালিকের কু-প্রস্তাব পেয়ে একী করলেন জনপ্রিয় নায়িকা! বিরাট চমক
লাল কলা ৫-১০ টাকা দামের মধ্যে পাইকারি বিক্রি করা যাবে। তবে সাধারণ যে কলা এখানকার মাটিতে হয়ে আসছে, তার থেকে অনেকটাই আলাদা লাল কলা গাছ রক্ষণাবেক্ষণ। এই কলা গাছে পোকা লাগে বেশি। তাই সবসময় নজরদারি চালাতে হয়, পাশাপাশি জমি সবসময় পরিস্কার করতে হয়। ছোট জাগুলিয়া পঞ্চায়েত প্রধান নুরুল হক জানান, মোট ১০ কাটা জমিতে ৪০ হাজার টাকা ব্যায়ে লাল কলা চাষ হচ্ছে। যে অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে তা ধাপে ধাপে কৃষক পেয়ে যাবেন। এই কলা চাষ করে সফল ছোট জাগুলিয়া পঞ্চায়েত। আগামী দিনে এই লাল কলা চাষ গোটা এলাকায় আরও বাড়ানো হবে বলে জানান পঞ্চায়েত প্রধান।
রুদ্র নারায়ন রায়