২০০ বছরের প্রাচীন এই রথযাত্রার ইতিহাস। রামকৃষ্ণ পরমহংসদেব বেলঘরিয়ার রথতলার মতিলাল শীলের ঠাকুরবাড়ির রথ দর্শনে এসেছিলেন সেই সময়।সেই মতিলাল শীলে ঠাকুরবাড়ির রথ একসময় বন্ধ হয়ে যায়। বেলঘরিয়া নিবাসী এক মহিলা ছোট্ট একটি লোহার রথ দেন বেলঘরিয়ার স্থানীয় একটি ক্লাবে। আড়িয়াদহ রথতলা থেকে দেড় ফুটের জগন্নাথ দেব সেই রথে চড়েই মাসির বাড়ি যেতেন। সেই লোহার রথ আজও চলে বেলঘরিয়ার রথতলায়। বড় এই রথের পেছনেই থাকে ছোট লোহার রথটি। তখন থেকেই বসত রথতলার এই অতি প্রাচীন রথের মেলা বলে জানালেন পুজো উদ্যোক্তা তথা কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র।
advertisement
এ বছর দু টনের উপর ফুলের সাজে সাজবেন জগন্নাথ দেব বলেও জানা গিয়েছে। রথতলা কমিটি সূত্রে জানানো হয়, পুরীর রথ যে কাঠ দিয়ে তৈরি হয়, সেই শাল, অসন এবং ধৌরা কাঠ দিয়েই বেলঘড়িয়ার রথতলার রথ তৈরি করা হয়। একেবারে পুরীর রথের আদলে শাল, অসন এবং ধৌরা কাঠ দিয়ে এই রথ তৈরি করতে সময় লাগে টানা তিন মাস। পুজো উপলক্ষে বিশেষ আয়োজনও থাকছে এ বছর। ভোগে থাকবে নানা পদের আয়োজন তথা পোলাও, খিচুড়ি, সাদা ভাত থেকে পটলের দোরমা, এঁচোড়ের তরকারি, পনিরের তরকারি আরও বিভিন্ন রকমারি পদ। রথের ভিড় সামাল দিতে জেলা প্রশাসনের আধিকারিকরাও রাস্তায় থাকবেন বলে জানা গিয়েছে।