যে নাবালিকার বিয়ে হচ্ছিল তার বাড়ি হিঙ্গলগঞ্জের ভাণ্ডারখালি গ্রামে। বাবা পেশায় চাষি। পরিবারের আর্থিক অবস্থা ভালো নয়। তাই স্কুলে পাঠরত মেয়ের বিয়ে দিয়ে দেওয়ার তোড়জোড় চলছিল বেশ কিছুদিন ধরেই। হঠাৎই বছর একুশের পাত্রের খোঁজ পেয়ে চুপিচুপি সব ব্যবস্থা করা হয়। হাসনাবাদের বিশপুর গ্রামে ওই নাবালিকার মামার বাড়ি। পাত্রের বাড়িও একই গ্রামে। কাউকে কিছু না জানিয়ে মেয়েকে মামার বাড়ি ঘোরানোর নাম করে নিয়ে গিয়ে বিয়ের পিঁড়িতে বসিয়ে দেয় মা-বাবা।
advertisement
আরও পড়ুন: গালিগালাজের প্রতিবাদ করায় দুই সন্তান সহ মার খেলেন প্রাক্তন সেনাকর্মী
তবে শেষ রক্ষা হয়নি। স্থানীয় সূত্রে খবর পেয়ে বিয়ের আসরে এসে হাজির হন হাসনাবাদের কন্যাশ্রী দফতরের আধিকারিক প্রণব মুখার্জি ও হাসনাবাদ থানার পুলিশের দল। প্রতিবেশীদের জিজ্ঞাসাবাদ করে এবং যাবতীয় কাগজপত্র দেখে তাঁরা বুঝতে পারেন ১৮ বছর বয়স হয়নি মেয়েটির। তার আগেই জোর করে বিয়ে দিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এরপরই ঘটনাস্থলে উপস্থিত সকলকে আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে ১৮ বছরের আগে মেয়ের আর বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করবেন না, নাবালিকার মা-বাবার কাছ থেকে এই প্রতিশ্রুতি আদায় করে নেয় পুলিশ। তারপর তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়। তবে সব জেনেও বিয়ের চেষ্টা করার অপরাধে পাত্র ও তার বাবাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।






