একসময় গ্রাম্য এলাকায় বিভিন্ন জায়গায় বাঁশ ঝাড়ের দেখা মিলত। কিন্তু সময়ের ব্যবধানে ধীরে ধীরে হারিয়ে যেতে চলেছে সেই ছবি। প্লাস্টিক ও অন্যান্য বিভিন্ন সামগ্রীর কদর বেড়ে যাওয়ার ফলে এসব কুটির শিল্পের চাহিদা এখন আর নেই। বাজার দখল করেছে প্লাস্টিক ও অ্যালুমিনিয়ামের তৈরি নানা জাতের আসবাবপত্র। প্লাস্টিক পণ্য স্বল্পমূল্যে হাতের নাগালে পাওয়া যাওয়ার ফলে অবলুপ্তি হতে চলেছে এই কুটির শিল্প।
advertisement
আরও পড়ুন : ভেষজ রঙে রাঙিয়ে তৈরি হচ্ছে বাংলা নববর্ষের জন্য হাতে বানানো ক্যালেন্ডার
পাশাপাশি করোনাকালে লকডাউনের সময় কাজ প্রায় বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। সেই পরিস্থিতি থেকে এখনও মাথা ঠেলে উঠতে পারেননি বাঁশ বেত শিল্পীরা। এই জীবিকাকেই প্রধান বাহক হিসাবে আঁকড়ে রেখেছেন বাসিরহাটের অনেক পারিবারই। কিন্তু দিন দিন বাঁশের তৈরি বিভিন্ন পণ্যের চাহিদা কমে যাওয়ায় ভাল নেই এই শিল্পের সঙ্গে জড়িত কারিগররা। জীবন জীবিকার তাগিদে তবুও পূর্বপুরুষদের এই পেশাকে এখনও ধরে রেখেছে পরিবারগুলি।