উত্তর ২৪ পরগনা সদর শহর বারাসতের চাঁপাডালি মোড় থেকে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে অবস্থিত বারাসত গভর্নমেন্ট মেডিকেল কলেজ। যানজটের জেরে সঙ্কটাপন্ন রোগীকে নিয়ে অনেক সময় হাসপাতলে ঢোকার আগে বেশ কিছুক্ষণ রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে অ্যাম্বুলেন্সকে। এদিকে জাতীয় সড়ক ব্যবহার করে প্রশাসনিক আধিকারিক থেকে নেতা-মন্ত্রীদের কনভয় হামেশাই যাতায়াত করায় যান নিয়ন্ত্রণ করে ট্রাফিক পুলিশ। তার জেরে যানজট আরও বেড়ে যায় বলে স্থানীয়দের অভিযোগ।
advertisement
আরও পড়ুন: গ্রামে রাস্তা নেই, হয়নি নিকাশী নালাও! ক্ষোভে ফুটছে মানুষ
অন্যদিকে দক্ষিণবঙ্গের সঙ্গে উত্তরবঙ্গের যোগাযোগের লাইফ লাইন ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের কলোনী মোড় চত্ত্বরে এসেও বহু ক্ষেত্রেই যানবাহনের গতি স্লথ হয়ে যায়। অফিস টাইমের ব্যস্ত সময় থেকে সন্ধে পর্যন্ত গাড়ি ঘোরার ভিড় ঠেলে শামুকের গতিতে চলাচল করাটাই যেন বারাসতের পরিচিত ছবি হয়ে দাঁড়িয়েছে। পাশাপাশি বেড়েছে টোটোর দৌরাত্ম্য। তার জেরেও যান চলাচলের ক্ষেত্রে সমস্যা তৈরি হচ্ছে বলে অভিযোগ।
শুধু উত্তরবঙ্গই নয়, বাংলাদেশের সঙ্গে আন্তর্জাতিক যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম এই ৩৫ নম্বর জাতীয় সড়ক। তার জন্য বারাসাতের উপর দিয়ে যাত্রীবাহী বাস ও পণ্যবাহী প্রচুর গাড়ি বনগাঁর দিকে যাতায়াত করে। এর ফলেও যানজট বাড়ে। তাছাড়া শহরের প্রতিটি মোড় সহ যত্রতত্র টোটো ও অটো দাঁড়িয়ে থাকায় যানবাহনের গতি আরও স্লথ হয়ে পড়ছে।
দীর্ঘদিনের চলে আসা এই যানজট সমস্যার জেরে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে বারাসতের মানুষের মধ্যে। অভিযোগ, প্রশাসন কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না যানজট নিয়ন্ত্রণে। এই অস্বাভাবিক যানজটের জেরে প্রতিদিন ১০ মিনিটের রাস্তা যেতে ৩০ মিনিটের উপর সময় লেগে যাচ্ছে। যদিও পুলিশের যুক্তি, ৩৪ ও ৩৫ নম্বর জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণ হলেও বেশ কিছু এলাকায় জমির অভাবে সম্প্রসারণ করা যায়নি। সেই কারণেই যানজটের সমস্যা মিটছে না। যদিও ভুক্তভোগী মানুষ আর যেন ধৈর্য ধরতে রাজি নয়।
রুদ্রনারায়ণ রায়