আরও পড়ুন: ৬৯ বছর বয়সে ১৮৫ কেজি ওজন তুলে পদক জিতলেন কাটোয়ার অনাদি গোপাল!
সুন্দরবন এলাকার মধ্যে পড়ে সন্দেশখালি-২ ব্লক। সেখানকার মনিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের আতাপুর খেয়াঘাট থেকে খুলনার মধ্যে রায়মঙ্গল নদী দিয়ে পারাপার চলছে বহু বছর ধরে। কিন্তু সংস্কারের অভাবে দীর্ঘদিন জরাজীর্ণ হয়ে পড়ে আছে খেয়া ঘাটটি। বর্তমানে তা একেবারে ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। তবুও প্রাণের ঝুঁকি নিয়েই এই খেয়াঘাট দিয়ে প্রতিদিন সুন্দরবনের কয়েক হাজার যাত্রী নদী পারাপার করছেন।
advertisement
বর্তমানে আতাপুর খেয়াঘাটে শুধু কয়েকটি ইট ও পিলারের উপর দিয়ে কোনরকমে নৌকায় ওঠেন যাত্রীরা। অনেকে পা হড়কে নদীতে পড়েও যান। সবচেয়ে বেশি সমস্যা হয় নৌকায় বাইক ও সাইকেল তুলতে। এদিকে খেয়াঘাটে আলোর ব্যবস্থা নেই। ফলে সন্ধের অন্ধকার নামলেই ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পরে। সন্দেশখালি গ্রামীণ হাসপাতাল এখানকার এক বৃহৎ এলাকার মানুষের একমাত্র ভরসা। সেটি খুলনায় অবস্থিত। ফলে আতাপুরের কোন রোগীকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় সেখানে নিয়ে যেতে ব্যাপক সমস্যায় পড়তে হয় পরিজনদের। এই অবস্থায় খেয়াঘাট সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন মাঝিরা’ও। এখানকার নৌকার মাঝি রাধেশ্যাম দাসের অভিযোগ, জেটিঘাট ঠিক করার কথা বহুবার প্রশাসনকে জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। পূর্ণিমার মরা কোটালে জল নিচে নেমে গেলে জেটির প্রায় শেষ প্রান্তে গিয়ে নৌকায় উঠতে হয়, যা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ বলে জানান তিনি।
জুলফিকার মোল্লা