আরও পড়ুন: তৃণমূলকে হারাতে পঞ্চায়েতে বিজেপির সঙ্গে জোট বাম-কংগ্রেসের!
পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়নপত্র জমার প্রক্রিয়া শুরু হতেই ফের রাজনৈতিক সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে বাংলার জেলাগুলি। কখনও বিরোধীরা মার খেয়ে বাড়ির মধ্যে ঢুকে যাচ্ছে, আবার বেশ কিছু জায়গায় তারা পাল্টা দেওয়ায় পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে উঠছে। এই অবস্থাকে কীভাবে যে গণতন্ত্রের উৎসব বলা যায় তা নিয়ে সব মহলেই প্রশ্ন উঠছে। তবু পরিস্থিতি সামলাতে রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা মনোনয়ন জমা দেওয়ার প্রতিটি কেন্দ্র অর্থাৎ বিডিও ও এসডিও অফিসের এক কিলোমিটারের মধ্যে ১৪৪ ধারা জারি নির্দেশ দিয়েছেন। কিন্তু মঙ্গলবার বারাসত-২ ব্লকের ছবিটা সম্পূর্ণ অন্যরকম ছিল।
advertisement
পাশের ব্লক অর্থাৎ বারাসত-১ ব্লকের বিডিও অফিসের পাশে থাকা দোকানগুলি মঙ্গলবার সাত সকালে তড়িঘড়ি করে বন্ধ করে দেয় পুলিশ। এক কিলোমিটার পর্যন্ত এলাকা কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়। এখানে শান্তিপূর্ণভাবেই বিরোধীরা মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। তৃণমূলের এখনও প্রার্থী তালিকা ঘোষণা না হওয়ায় তাঁদের কাউকে মনোনয়ন জমা দিতে আসতে দেখা যায়নি। কিন্তু বারাসত-২ ব্লকের ছবিটা ছিল পুরোপুরি কয়েনের উল্টোপিঠ। এখানে বিডিও অফিসের ঠিক গায়েই অবস্থিত তৃণমূলের দলীয় অফিস। মনোনয়ন জমা দেওয়ার গোটা সময়টাই দেখা গেল সেই দলীয় কার্যালয় খোলা আছে। সেখানে ভিড় করে আছেন শাসকদলের নেতা কর্মীরা। পুলিশ তাঁদের কিছু বলছে না। শুধু বিডিও অফিস চত্বরে নিরাপত্তারক্ষীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছেন বিরোধীরা। যদিও এই বিষয়ে প্রশাসনের পক্ষ থেকে কিছু বলা হয়নি। আর শাসকদলের দাবি, কোনও অশান্তিত তো হয়নি। তবে এতো কথা উঠছে কেন!
রুদ্রনারায়ণ রায়