TRENDING:

Khayra Kali: মায়ের ভোগে খয়রা মাছ! বিথারীর জাগ্রত খয়রা কালীর কৃপায় মহামারি নির্মূল, সাতশো বছরের প্রাচীন পুজোর অলৌকিক কাহিনি জানুন

Last Updated:

Bithari Khayra Kali: বাঙালির প্রিয় খাদ্য মাছ ভগবানের ভোগেও নিবেদন করে। শুধু তাই নয়, মাছের নামেই গড়ে উঠেছে এক দেবীর আসন, খয়রা কালী মন্দির। উত্তর ২৪ পরগনার স্বরূপনগরের বিথারীতে অবস্থিত এই মন্দিরের বয়স সাতশো বছরেরও বেশি।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
স্বরূপনগর, উত্তর ২৪ পরগণা, জুলফিকার মোল্যা: বিথারীর খয়রা কালী, মাছের ভোগ হয় জাগ্রত এই দেবীর জন্য। সাতশো বছরের ঐতিহ্য। বাঙালির পরিচয় মাছ-ভাতে। প্রিয় খাদ্য মাছকে ভগবানের ভোগেও নিবেদন করে। শুধু তাই নয়, মাছের নামেই গড়ে উঠেছে এক দেবীর আসন, খয়রা কালী মন্দির। উত্তর ২৪ পরগনার স্বরূপনগরের বিথারীতে অবস্থিত এই মন্দিরের বয়স সাতশো বছরেরও বেশি। ইতিহাস, বিশ্বাস আর অলৌকিকতার ছোঁয়ায় ঘেরা এই কালীমন্দির আজও সমান শ্রদ্ধেয় ও পূজিত।
advertisement

ষোড়শ শতাব্দীর শেষভাগে কাশীনিবাসী ব্রাহ্মণ গোপাল সার্বভৌম চক্রবর্তী প্রতিষ্ঠা করেছিলেন এই মন্দির। কাশীর দশাশ্বমেধ ঘাটে বেদপাঠ করতেন গোপাল সার্বভৌম। একদিন যশোরের রাজা প্রতাপাদিত্য তাঁর বেদপাঠ শুনে মুগ্ধ হন এবং রাজ্যাভিষেকের দিন যশোরে গিয়ে বেদপাঠের আমন্ত্রণ জানান। সেই আমন্ত্রণ রক্ষা করতে নদীপথে যাত্রা করেন গোপাল। কিন্তু অমাবস্যার রাতে পথ হারিয়ে পৌঁছে যান বিথারির ঘন জঙ্গলে। সেই রাতে ঘটে এক অলৌকিক ঘটনা।

advertisement

আরও পড়ুনঃ রাতের আঁধারে পুজো, ভোরের আগেই বিসর্জন! কেন দিনের আলো দেখেন না ‘এই’ মন্দিরের মা কালী, জানুন সেই কাহিনি

স্বপ্নে এক দেবতা তাঁকে নির্দেশ দেন – এখানেই তৈরি করতে হবে কালীমূর্তি এবং করতে হবে পুজো। ঘুম ভেঙে গোপাল সার্বভৌম স্বপ্নাদেশ মেনে সঙ্গীদের নিয়ে সেই রাতেই কালীমূর্তি গড়ে পুজো করেন। পরদিন মূর্তি বিসর্জন দিতে গেলে নানা বাধা আসে। ফের স্বপ্নে দেবী নির্দেশ দেন, এখানেই তাঁর আসন হোক। এরপর রাজা প্রতাপাদিত্যের দানে গড়ে ওঠে মন্দির, বিথারী কালীমন্দির।

advertisement

View More

আরও পড়ুনঃ কাঁথির ‘এই’ ক্লাবে পাঁচ দিন ধরে কালীপুজো! সাড়া জাগানো থিম, চোখ ধাঁধানো আলোর খেলা দেখতে উপচে পড়ছে ভিড়

মন্দির সংলগ্ন নদী থেকে খয়রা মাছ ধরে দেবীর ভোগ দেওয়ার প্রচলন শুরু হয়। সেই থেকেই দেবীর নাম হয় ‘খয়রা কালী’। এই মন্দির ঘিরে আছে আরও এক ঐতিহাসিক সংযোগ। রাণী রাসমণির জামাই মথুরমোহন বিশ্বাসের পৈতৃক ভিটে ছিল বিথারীতেই। তাঁর জমিদারির অংশ হিসেবে তিনি মন্দিরের রক্ষণাবেক্ষণে সাহায্য করতেন। রাণী রাসমণিও পরবর্তীতে মন্দির সংস্কারের জন্য অর্থসাহায্য করেছিলেন।

advertisement

আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
বিথারীর খয়রা কালীর কৃপায় সেরেছিল মহামারি! দেবীর পুজোর অলৌকিক কাহিনি জানুন
আরও দেখুন

শ্রীশ্রী রামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের সঙ্গেও এই মন্দিরের যোগ রয়েছে। তিনি দু’বার এসেছিলেন বিথারী কালীমন্দিরে এবং ভক্তিভরে পুজো করেছিলেন। বিশ্বাস করা হয়, খয়রা কালী অত্যন্ত জাগ্রত দেবী। এক সময় নিকটবর্তী গোয়ালবাথান গ্রামে কলেরার প্রকোপ দেখা দিলে গ্রামের মানুষ ভক্তিভরে দেবীর কাছে প্রার্থনা করেন। বিশ্বাস করা হয়, দেবীর কৃপায় সেই মহামারির প্রকোপ কমে যায় এবং গ্রামের কেউ মারা যাননি। আজও খয়রা কালীর পুজোয় মাছের ভোগই মুখ্য। শতাব্দীর পর শতাব্দী পেরিয়ে, এই মন্দির শুধু ধর্মীয় বিশ্বাস নয়, বাঙালির সংস্কৃতি, আচার ও ঐতিহ্যের এক জীবন্ত প্রতীক হয়ে আছে।

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
Khayra Kali: মায়ের ভোগে খয়রা মাছ! বিথারীর জাগ্রত খয়রা কালীর কৃপায় মহামারি নির্মূল, সাতশো বছরের প্রাচীন পুজোর অলৌকিক কাহিনি জানুন
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল