পরিবারের লোকজন দিনভর খোঁজাখুঁজির পরেও মেলেনি সেরিনা বিবির সন্ধান। দিন গড়িয়ে যখন রাত তখন পাশের পাড়ায় বৃদ্ধাকে খুঁজতে যাচ্ছিল পরিবারের সদস্যরা। তখন পাট ক্ষেতের মধ্যে সেরিনা বিবির নিথর দেহ তারা পড়ে থাকতে দেখেন।
আরও পড়ুনঃ চুল্লিতে ঢোকাতেই উঠে বসল! চাদর সরিয়ে মৃতদেহ তুলে গাড়ি ছুটল হাসপাতাল! তারপর যা ঘটল…
advertisement
বৃদ্ধার মৃতদেহ যারা দেখেছেন সেই সকল প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন বৃদ্ধা পাট ক্ষেতের মধ্যে অর্ধনগ্ন অবস্থায় পড়েছিলেন- ভারী কিছু দিয়ে মাথা থেতলে দেওয়া হয়েছে – শরীরের একাধিক জায়গায় ছিল আঘাতের চিহ্ন – হাতে এবং পায়ে ছিল ফোসকা পড়া, ঠিক এসিড ছুড়লে যেমনটা হয়। খবর দেওয়া হয় অশোকনগর থানায়,পুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায় অশোকনগর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন বৃদ্ধাকে যেখানে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে তার আশেপাশের জায়গা গুলো দীর্ঘদিন ধরে নেশারুদের আঁতুড় ঘরে পরিণত হয়েছিল। পাশাপশি তাদের দাবি দোষীদের গ্রেফতার করে কঠিন শাস্তির ব্যাবস্থা করতে হবে। বৃদ্ধাকে যে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে সে কথা স্বীকার করে গুমা ১ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান জেসমিন সাহাজি বলেন বৃদ্ধার কাছে হয়তো সোনার গয়না ছিল সেগুলো নেওয়ার জন্যই দুষ্কৃতীরা এমন কান্ড ঘটাতে পারে।
পাশাপাশি তিনি আরো বলেন স্থানীয়দের কাছে শুনেছি এখানে দুষ্কৃতীদের আনাগোনা বেড়েছে- নেশারুদের আঁকড়া তৈরি হয়েছে, চাইবো প্রশাসন দ্রুততার সাথে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করুক।
এদিন ঘটনাস্থলে এসে মৃতার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন এসডিপিও হাবড়া রোহেত শেখ এবং অশোকনগর থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক অয়ন চক্রবর্তী। পুলিশ আধিকারিক এবং এলাকার প্রধানকে কাছে পেয়ে এলাকায় যে দুষ্কৃতী দৌরাত্ম বেড়েছে মেয়েরা ওই পথ দিয়ে স্কুল কলেজে যেতে পারছে না বলে ক্ষোভ উগ্রে দিলেন মৃতার পরিবারের মহিলা সদস্যরা।
পুলিশ সূত্রে জানা যায় ইতিমধ্যেই একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছেন এবং দেহ ময়না তদন্তের জন্য বুধবার বারাসাত হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হবে বলে জানা যায়। তবে ঠিক কি কারণে নির্মাণভাবে বৃদ্ধাকে খুন হতে হলো – ধোঁয়াশার মধ্যে গোটা গ্রাম,তদন্তে পুলিশ প্রশাসন।
জিয়াউল আলম