করোনা নামের এক শক্তিশালী অসুর গ্রাস করেছিলো গোটা পৃথিবীকে। আর পাঁচটা জীবিকায় যতটা না প্রভাব পরেছিলো তার চেয়ে অনেক বেশি প্রভাব পড়েছিলো মৃৎশিল্পীদের। তাদের অর্থনৈতিক অবস্থা খুবই খারাপ চলছিলো। সেই পরিস্থিতি কাটিয়ে এবছর অনেকটাই স্বাভাবিক। মিলেছে দুর্গা প্রতিমা অর্ডার, আর তাই অর্ডার অনুযায়ী কাজ চলছে জোরকদমে। কোথাও রঙের কাজ শুরু হয়ে গেছে কোথাও মাটি দিয়ে ফিনিশিং টাচ করা হচ্ছে।এই মুহুর্তে রাত জাগতে না হলেও, রাত ১২ টা পর্যন্ত কাজ চলছে বলে জানান মৃৎশিল্পীরা।
advertisement
আরও পড়ুনঃ পাচ্ছেন না বেতন, পুজোর আগে চরম সমস্যায় পৌরসভার শ্রমিক কর্মচারীরা
তবে বর্তমানে চিন্তায় ফেলছে আবহাওয়া। কয়েক দিন ধরে চলা বৃষ্টি ও মেঘলা আকাশের ফলে মৃৎশিল্পীরা যথেষ্ট দুশ্চিন্তার মধ্যে রয়েছেন। তবে, বাকি হাতে আর মাত্র কটা দিন। তাই বর্তমানে আর কোন অর্ডার নেওয়া হচ্ছে না। যে পরিমাণ অর্ডার মিলেছে, তাতে সময় মত অর্ডার দেওয়া প্রতিমাগুলি ডেলিভারি করতে পারলেই এখন চিন্তামুক্ত শিল্পীরা। তাই যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে চলছে কাজ। ফলে, এবছর একদিকে যেমন অর্ডার বেশি, ঠিক তেমনই কাজের চাপ।
আরও পড়ুনঃ ঘনঘন বিদ্যুৎ বিপর্যয় বারাসতে! নাকাল এলাকাবাসীরা
আবহাওয়ার নানা প্রতিকূলতা থাকা সত্ত্বেও, সব ঠিকঠাক থাকলে সঠিক সময়ে মন্ডপে মন্ডপে পৌছে যাবে উমা বলেই দাবি দেবী দুর্গাকে সাজিয়ে তোলা এই মৃৎশিল্পীদের। কাছে দূরে মিলিয়ে প্রায় ১০০টির উপর প্রতিমার অর্ডার নেওয়া হয়েছে অশোকনগরের এই মৃৎশিল্পালয়ে। ফলে, করোনাকালীন পরিস্থিতির ক্ষতি কিছুটা হলেও পূরণ করা যাবে, সেই আশাতেই এখন চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। সামনেই বিশ্বকর্মা পুজো, তাই অর্ডার অনুযায়ী বিশ্বকর্মা ঠাকুর বেরিয়ে গেলেই, দুর্গা প্রতিমা গুলি রং করে পূর্ণাঙ্গ রূপ দেওয়া হবে।
Rudra Narayan Roy