এই পুরো বিষয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের উৎসাহ দান করেন প্রধান শিক্ষক ড: মনোজ ঘোষ সহ অন্যান্য শিক্ষক-শিক্ষিকারা। স্কুল প্রাঙ্গণের কোথাও কোন নোংরা আবর্জনার দেখা মিলবে না। এই স্কুলে নির্দিষ্ট ডাস্টবিনেই বর্জপদার্থ ফেলেন সকল ছাত্র-ছাত্রীরা। স্কুল প্রাঙ্গণের বিভিন্ন প্রান্তে রয়েছে নির্দিষ্ট ডাস্টবিনও। প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে স্কুল প্রাঙ্গণ পরিষ্কার রাখার দায়িত্ব থাকে ছাত্রছাত্রীদের উপর। আর তার জন্য স্কুলে রয়েছে মন্ত্রিসভাও। অশোকনগর বিদ্যাসাগর বানীভবন স্কুলে ঢুকলে প্রতিটা মুহুর্তেই যেন দাঁড়িয়ে পড়তে হবে স্কুলের পরিবেশ দেখার জন্য। আর এরকম পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন স্কুলে পড়াশোনা করতে কে না চায়৷
advertisement
আরও পড়ুন - Ind vs WI: আজ সূর্যকুমারের সামনে জবরদস্ত সুযোগ, বাবর আজমকে এক নম্বর থেকে হঠাতে বদ্ধপরিকর
শুধু পরিষ্কার পরিচ্ছন্নই নয়, স্কুলের চারিদিকে রয়েছে শুধুই সবুজের বাহার। সবচেয়ে বড় আকর্ষণ স্কুল চত্বরে শোভা বিস্তার করছে নানা রকমারি সবজির বাগান। পড়াশুনার পাশাপাশি এই স্কুলের পড়ুয়াদের সবুজ মন গড়ে তোলার পাঠও দেওয়া হয়। পড়ুয়াদের হাতে ফলানো সবজি মিড ডে মিলের খাবারে ব্যবহার করা হয়। স্কুল প্রাঙ্গণে তৈরি করা হয়েছে বর্জ্য পদার্থ থেকে সার তৈরির চেম্বার। এখানেই সমস্ত বর্জ্য পদার্থ সংরক্ষণ করা হয়।
আরও পড়ুন- Weather Alert: নিম্নচাপ ঘণীভূত, প্রবল উত্তাল হবে সমুদ্র, মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে না যেতে নির্দেশ
এই সার পুনরায় কৃষি কাজের ক্ষেত্রে স্কুল প্রাঙ্গণের বিভিন্ন গাছে দেওয়া হয়ে থাকে বলেও জানা যায়। শুধু হাতে কলমেই শিক্ষা নয়, পরিবেশকে বাঁচাতে, সমাজকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে নানা পাঠ পড়ানো হয় এই স্কুলের ছাত্র ছাত্রীদের। পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতায় জেলার মধ্যে ৯৭ শতাংশ নম্বর পেয়ে ফাইভ স্টার স্বীকৃতি লাভ করেছে এই স্কুল। আগামী দিনে অন্যান্য বিষয়ের পাশাপাশি ১০০ শতাংশ পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে এগোচ্ছে বিদ্যাসাগর বাণীভবন স্কুল। এই স্বীকৃতি লাভে প্রধান শিক্ষকের ঐকান্তিক প্রচেষ্টাকে কুর্নিশ জানিয়েছেন আভিভাবকেরাও।
Rudra Narayan Roy