পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন মধ্যমগ্রাম পৌরসভার জনপ্রতিনিধিরাও। মহিলাদের উদ্যোগে এই অনুষ্ঠানে লাল পেড়ে সাদা শাড়ির পাশাপাশি কুলো পাখা শঙ্খ নিয়ে মহিলাদের বর্ষবরণ করতে দেখা গেল। পাশাপাশি সাঁওতাল আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষদেরও দেখা যায় মিছিলে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের তালে মাতিয়ে তুলতে।
আরও পড়ুন: সরকারি কর্মীকে পিষে দিল ট্রাক, ইচ্ছামতী ব্রিজে মারাত্মক দুর্ঘটনা
advertisement
নববর্ষ নিয়ে আসুক নতুন বার্তা, ভাল কাটুক সকলের এই বার্তাকে সামনে রেখেই আয়োজন করা হয় এই মঙ্গলযাত্রার। যদিও কথা বলে জানা যায়, এই মঙ্গল যাত্রার শুরু হয়েছিল বাংলাদেশ থেকে, সেই মঙ্গল শোভাযাত্রা কে এপার বাংলা নিজের করে নিয়ে এক উৎসবের রূপ দিয়েছে। পয়ালা বৈশাখের দিন বাংলাদেশের পাশাপাশি রাজ্যের নানা প্রান্তে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
আরও পড়ুন: আইপিএলের ধাঁচে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহন করলেন জেলা পুলিশ
১৯৮৯ সালে ছায়ানট নামে একটি সাংস্কৃতিক সংগঠনের উদ্যোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনিস্টিউটের পক্ষ থেকে মঙ্গল শোভাযাত্রা নামে নতুন এক উৎসব শুরু হয়। চলতি ভাষায় বলতে গেলে, বৈশাখের প্রথম দিন মঙ্গল লাভের আশায় বিভিন্ন পশু-পাখির মুখোশ, ছবি, প্রতিমা বহন করে ঢোল-তবলার তালে তালে যে মিছিল বের করা হয় তাকেই মূলত মঙ্গল শোভাযাত্রা বলা হয়। এর মূল উদ্দেশ্য মানব জীবনের কল্যাণ ও সমৃদ্ধি নিয়ে আসা। বিশ্বাস করা হয় এই শোভাযাত্রার মধ্যে দিয়ে আসে সুখ সমৃদ্ধি। এদিন মঙ্গলযাত্রায় অংশ নেন মধ্যমগ্রামের কয়েকশো মানুষ। রাস্তার দুপাশের মানুষের সঙ্গেও শুভেচ্ছা বিনিময় চলতে থাকে। বাংলার কৃষ্টিকে তুলে ধরতেই এদিনের মঙ্গল শোভাযাত্রা।
Rudra Narayan Roy