স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে খবর, বিগত বছরের সমস্ত রেকর্ড ভেঙে ক্রমাগত ডেঙ্গি বাড়ছে বিধাননগর সহ গোটা কলকাতা শহরে। পিছিয়ে নেই শহরতলি এমনকি মফস্বল গুলিও। এই মূহুর্তে রাজ্যে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ৬ হাজার। গত কয়েকদিন আগে ডলি বৈদ্য নামে ব্যারাকপুরের এক যুবতী ডেঙ্গির বলি হয়েছেন। স্বাস্থ্য বুলেটিন অনুযায়ী শুধু কলকাতা শহর বা লাগোয়া উত্তর ২৪ পরগনা এলাকায় নয়, হাওড়া, হুগলি, দক্ষিণ ২৪ পরগণার প্রত্যন্ত গ্রামীন এলাকাগুলোতেও ডেঙ্গির প্রকোপ বাড়ছে দ্রুত হারে।
advertisement
স্বাস্থ্য আধিকারিকরা বারবার অনুরোধ করছেন শুরুতেই ডেঙ্গির পরীক্ষা করার জন্য। অভিযোগ, জ্বর হলেই লোকে স্থানীয় চিকিৎসকের পরামর্শে বা নিজেরাই ওষুধ কিনে খাচ্ছেন। অবস্থা গুরুতর হলে তখন হাসপাতালে যাচ্ছেন বা ডেঙ্গির পরীক্ষা করাচ্ছেন। ততক্ষনে বিপদ অনেকটা বেরে যাচ্ছে।শহরের তুলনায় গ্রামীন এলাকায় জঞ্জাল সাফাই, নিকাশি নালা না থাকায় সেখানে ডেঙ্গির প্রকোপ বাড়ছে। উত্তর ২৪ পরগণার বনগাঁ, বসিরহাট, বারাসত, মধ্যমগ্রাম, রাজারহাট, হাড়োয়া এলাকায় ডেঙ্গির দাপট যথেষ্ট ভয় ধরাচ্ছে এলাকার বাসিন্দাদের।
আরও পড়ুন: '১৫ মিনিট সময় আছে!' সন্তান জন্মের মাত্র ১৫ মিনিট আগে যুবতী জানতে পারেন তিনি গর্ভবতী!
কলকাতা লাগোয়া বিধাননগরে ছ’শোর বেশি মানুষ ডেঙ্গিতে আক্রান্ত। পজিটিভিটির রেট ৩০ ছুঁই ছুঁই অর্থাৎ প্রতি তিন জন মানুষ ডেঙ্গির পরীক্ষা করালে তার মধ্যে একজন ডেঙ্গিতে আক্রান্ত। যা অন্য যে কোন পুরসভা এলাকার থেকে সবচেয়ে বেশি। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকজন আক্রান্ত ডেঙ্গিতে মারা যাওয়ায় আতঙ্ক অনেক বেশি ছড়িয়েছে। এ ব্যাপারে সাধারণ মানুষ যেমন পুরসভার গাফিলতির দিকে আঙুল তুলেছে তেমনি পাল্টা পুরসভা সাধারণ মানুষের উদাসীনতাকে দায়ী করেছে। বিধাননগরের স্বাস্থ্য দফতরের মেয়র পারিষদ বানীব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ডেঙ্গি দমনে পুরসভার পক্ষ থেকে যা যা করনীয় তা সবই করা হচ্ছে। উৎসবের মধ্যেও পুর কর্মীদের ছুটি নেই। রাতদিন কাজ করছে ভেক্টর কন্ট্রোল ইউনিট। পরিস্থিতির দিকে নজর রাখা হচ্ছে বলেও প্রশাসনের তরফ থেকে জানানো হয়েছে।
Rudra Narayan Roy