রীতিমত ক্ষুব্ধ এলাকাবাসীরা। কেন করা হল ঝা চকচকে রাস্তা, আবার কেন বা তা কেটে পুনরায় জলের পাইপ বসানো হচ্ছে তা বুঝে উঠতে পারছেন না কেউই। দীর্ঘ প্রায় কয়েক বছর ধরে বেহাল অবস্থায় ছিল অশোকনগরের রাজপথ গুলি। বিভিন্ন জায়গায় চলছিল গঙ্গার জলের পাইপলাইন বসানোর কাজ। তবে চলতি বছরে রাস্তাগুলি পুনরায় সংস্কার করে ঝা চকচকে করা হয় কোটি টাকা খরচ করে। প্রশ্ন উঠছে তবে আবারও কেন ফের রাস্তা কাটার প্রয়োজন পরল! যদিও বিষয়টি নিয়ে শাসক দলের বিরুদ্ধে কা'মানি খাওয়ার অভিযোগ তুলছেন অনেকেই। বিষয়টি নিয়ে শুরু হচ্ছে রাজনৈতিক তরজাও।
advertisement
আরও পড়ুন - Recruitment Scam: নিয়োগ দুর্নীতিতে ফের রহস্যময়ী নারী যোগ! মডেলের চাকরি পুরসভায়, রয়েছে দামী গাড়ি
স্থানীয় প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে, দীর্ঘ বেশ কয়েক বছর ধরে হাবড়া - নৈহাটি রুটের জিরাট রোডের পাশে পরে থাকতে দেখা গিয়েছে বড় বড় পাইপ, যে পাইপ নৈহাটি থেকে সোজা জিরাট রোড ধরে অশোকনগর এবং হাবড়া পুর এলাকায় গঙ্গার থেকে পানীয় জল নিয়ে আসার কাজে ব্যাবহার করা হবে বলে রাখা ছিল। তবে দীর্ঘ বছর ওই ভাবে রাস্তার পাশে পাইপ পরে থাকলেও কোনো কাজ হয়নি। পাইপ পাইপের জায়গায়ই পরেছিল। বছর খানেক আগে থেকে শুরু হয় জিরাট রোড সম্প্রসারণের কাজ এবং মাত্র মাস দেড়েক হল সেই কাজ শেষ হয়। রাস্তা তৈরির কাজ শেষ হতে না হতে ফের নতুন রাস্তা কেটে শুরু হল গঙ্গার থেকে পানীয় জল আসার পাইপ লাইনের কাজ। অশোকনগর পুর এলাকার বিভিন্ন জায়গায় জিরাট রোড কেটে এভাবেই চলছে পাইপ বসানোর কাজ।
আরও পড়ুন - IMD Weather Alert : হু হু করে ঝোড়ো বাতাস, নাছোড় শিলাবৃষ্টি, আবহাওয়ার রুদ্ররূপ জারি, রইল আপডেট
বিষয়টি নিয়ে বিরোধীরা এক যোগে অভিযোগ তুললেন শাসক দলের দিকে।নতুন রাস্তা কেটে আবার কেন পাইপ লাইন বসানো হচ্ছে এই প্রশ্নের উত্তরে সিপিএম এবং বিজেপি এক যোগে সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরার সামনে জানিয়েছেন এটা হল শাসক দলের কাটমানি খাওয়ার নতুন এক পদ্ধতি। তা না হলে রাস্তা করার আগে কেনো পাইপ বসানোর কাজ করা হয়নি, কেন রাস্তা তৈরির পরে নতুন রাস্তা কেটে পাইপ বসানোর কাজ চলছে? কেন এই ভাবে অর্থ নষ্ট করা হচ্ছে? অশোকনগরের স্থানীয় বাসিন্দারাও জানিয়েছেন রাস্তা করার আগে পাইপ লাইনের কাজ করা হলে আজ আবার নতুন করে রাস্তা কেটে পাইপ বসানোর প্রয়োজন পড়ত না। যদিও পাল্টা যুক্তি দেখিয়েছে শাসক দল। তবে এই খামখেয়ালিপনার জেরে নাকাল হতে হচ্ছে অশোকনগরবাসীদের। কবে বদলাবে এই হয়রানির ছবি এখন তারই অপেক্ষায় দিন গুণছে এলাকাবাসীরা।
Rudra Narayan Roy






