বেশ কয়েক বছর একসঙ্গে কোচিং ক্লাসে থাকার সময় অর্পিতার সঙ্গে বন্ধুত্ব তৈরি হয়েছিল রাকেশ সাহার সঙ্গে। আজও সেদিনের কথা মনে পড়ে বলেই জানালেন অর্পিতার কোচিং ক্লাসের এই বন্ধু। টিভিতে কান্নায় ভেঙে পড়া অর্পিতাকে দেখে রীতিমতো কষ্ট পাচ্ছেন তিনিও। কোচিং ক্লাসের সেই বান্ধবী যে এত বদলে যাবে তা এখনও বিশ্বাস হচ্ছে না এই বন্ধুর। কোচিংয়ে পড়তে যাওয়া, হাসি ঠাট্টা, আড্ডা মারা সবই চলত। জানা যায়, বেলঘরিয়া মহাকালি গার্লস স্কুলে পড়তেন অর্পিতা। সাগর দত্ত স্কুলে প্রধান শিক্ষকের কাছে বাংলা পড়তে যেতেন। কিন্তু পরবর্তীতে আস্তে আস্তে অভিনয় জগতে আগ্রহ জন্মাতে শুরু করে বান্ধবী অর্পিতার।
advertisement
আরও পড়ুন: TET উত্তীর্ণদের মিছিলে উত্তেজনা, বিধাননগরে পুলিশ-চাকরিপ্রার্থীদের ধুন্ধুমার
তারপর থেকেই আর দেখা হত না। পুজোর সময় আসতো পাড়ায়। সেই সময়ই একটু দেখা হত বলে জানান রাকেশ। কিন্তু ছোটবেলার বান্ধবী যে এরকম কাণ্ড ঘটাতে পারেন তা এখনো বিশ্বাস করে উঠতে পারছেন না পুরোপুরি। অর্পিতাকে ফাঁসিয়ে দেওয়া হয়ে থাকতে পারে বলেও অনেক ক্ষেত্রেই মনে করছেন তার বন্ধু। তবে সত্য জানার পাশাপাশি যদি কোন দোষ করে থাকে তবে তার শাস্তি মিলবে বলেও, হতাশার সুরে জানালেন অর্পিতার ছোটবেলার এই কোচিং ক্লাস এর বন্ধু রাকেশ।
আরও পড়ুন: ভুয়ো কল সেন্টারের আড়ালে নিউ টাউনে বিশাল প্রতারণার পর্দাফাঁস, ধৃত ৭
অন্যদিকে, অর্পিতাকে ছোট্ট বেলা থেকে দেখে আসছেন প্রতিবেশী অন্নপূর্ণা চৌধুরী। তিনি জানান, ছোট বেলায় পাড়ায় থাকতো সবসময়। তারপর কোথায় চলে গেলো কেউ জানেনা। পাড়ার পুজোয় আসতো, অর্থ দিয়ে সহযোগিতা করতো সবসময়। যখনই আসতো বাড়িতে, নিজেই গাড়ি ড্রাইভ করে আসতো অর্পিতা। আমরা শুনেছি সিনেমা করতো। কিন্তু কোনদিন দেখিনি। খুব ভালো মেয়ে ছিল। যখনই কেউ বিপদে পরতো অর্পিতা সাহায্য করতো। কেউ যদি বলতো সে খেতে পাচ্ছেনা, তার পাশেও দাড়াতো অর্পিতা। যখনই কেউ সমস্যা নিয়ে আসতো, অর্পিতা টাকা বের করে দিতো নির্দ্বিধায়।
পাড়ার বহুবার পুজোয় ফিতে কেটে উদ্বোধন করেছে অর্পিতা। তবে সঙ্গে কোনওদিন কোন মন্ত্রীদের দেখিনি। পিসি বলেই ডাকতো অন্নপূর্ণা দেবীকে। আজ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের এই অবস্থা দেখে যেন মেনে নিতে পারছেন না অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের পৈত্রিক বাড়ি বেলঘড়িয়ার দেওয়ান পাড়ার আশেপাশের মানুষজন। তবে যদি দোষ করে থাকে তবে তার সঠিক বিচার হোক, বেরিয়ে আসুক আসল সত্য। কোটি কোটি টাকা আসলে কার? তা সত্যিই জানার ইচ্ছে সকলের।
রুদ্র নারায়ণ রায়