অবাস্তব কিছু, যা স্বপ্নেই দেখা সম্ভব। তাই কলকাতার পুজোর সাথে লড়াইয়ে অনেকটাই এগিয়ে ছিল এবার উত্তর দমদম বিরাটি সাহাপাড়া আমরা সবাই সার্ব্বজনিন দুর্গোৎসব কমিটি। তাদের ৫০ তম পর সে এবার বিশেষ আকর্ষণ হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে এই স্বপ্নের জগতের ভাবনা। থিমের নাম দেওয়া হয়েছে "অলিক"। পুজো মণ্ডপে প্রবেশ করলেই দেখা যাচ্ছে মেঘের মধ্যে উড়ে বেড়াচ্ছে পরীরা। শিল্পীর শিল্প সত্তাকে এভাবে ফুটিয়ে তোলার কুর্নিশ জানাচ্ছেন আগত দর্শকরা। হঠাৎ করে প্রবেশ করলে মনে হচ্ছে সত্যিই কোন স্বপ্নের জগতে পৌঁছে গিয়েছেন। যেমন মণ্ডপ, তেমন প্রতিমা। সবকিছুতে সামঞ্জস্য বজিয়ে রেখে এক অসাধারণ মণ্ডপ ফুটিয়ে তুলেছে বিরাটি সাহাপাড়া আমরা সবাই ক্লাব।
advertisement
আরও পড়ুন: সুহানা, আরিয়ান থেকে করণ জোহর...মাধুরীর ছবি 'মজা মা'-র স্ক্রিনিংয়ে চাঁদের হাট
অধিকাংশ মণ্ডপ তৈরি করা হয়েছে তুলো ও ফোম দিয়ে। মণ্ডপে প্রবেশ মুখে রয়েছে একটি কালারফুল পরির মুখ। তারপর ভিতরে ঢুওতেই নীল আলোয় স্বপ্নের জগত, দুপাশে দুটি পরি দাঁড়িয়ে " অলিক" থিমে প্রবেশ করার জন্য স্বাগত জানাচ্ছে। একই সাথে মাথার উপর দুটি পরি ভাসছে। মা দুর্গার তার চার ছেলে-মেয়েদের নিয়ে পঙ্খীরাজে ভাসছেন, সিংহ তার অনেকটাই আগে।সবমিলিয়ে এক অসাধারণ পরিবেশ, এবং চোখ ধাধানো মন্ডপ। ইতিমধ্যে বিভিন্ন জায়গা থেকে পুরস্কৃত হয়েছে আমরা সবাই সার্ব্বজনিন দুর্গোৎসব কমিটি এই বছরের ভাবনা। দূর দূরান্ত এমনকি কলকাতা ও পার্শ্ববর্তী জেলা থেকেও বহু মানুষ এই মন্ডপ দর্শনের জন্য আসছেন। নবমীর রাতে ভিড় সামাল দিতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হয়েছে উদ্যোক্তাদের। দশমীতেও ব্যাপক ভিড় হবে আশা করছেন তারা। যাতে কোন দর্শনার্থীদের, মণ্ডপ দর্শন না করে ফিরে যেতে হয় সেই কারণে বাড়তি আরো দুদিন মণ্ডপ দর্শনার্থীদের জন্য খোলা থাকবে বলে জানানো হয়েছে।
রুদ্র নারায়ণ রায়