আগে সপ্তাহে সাতদিন এই ক্যান্টিন চালু থাকলেও, বর্তমান রবিবার বন্ধ রাখা হয় পরিষেবা। এই এক টাকার খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে বারাসত হাসপাতালে আসা রোগী ও তাদের আত্মীয়দের জন্য। কিন্তু বারাসত হাসপাতালে ভিতরে এই ক্যান্টিন চালানোর অনুমতি না পাওয়ায়, রাস্তার পাশেই ভ্রাম্যমাণ গাড়িতে এই ক্যান্টিন চালু করা হয়। বর্তমানে সকল সাধারণ মানুষই এই খাবার গ্রহণ করছেন। দুপুর ১২ টা থেকে দুটো পর্যন্ত এই এক টাকায় দুপুরের পেটভরে খাবার চালু থাকলেও, ভ্রাম্যমান কাউন্টার চালু হওয়ার আধঘন্টার মধ্যেই সব শেষ হয়ে যায়। বর্তমানে ২০০ থেকে আড়াইশো জনের খাবার ব্যবস্থা করা হলেও, ভবিষ্যতে এই সংখ্যা ১০০০ করার ইচ্ছাপ্রকাশ করেন সংগঠনের চেয়ারম্যান মিঠু চৌধুরী। এক এক দিন এক এক ধরনের খাবার থাকে আমিষ, নিরামিষ মিলিয়ে। আর মাসে একদিন থাকে বিরিয়ানি।
advertisement
আরও পড়ুন: যে কোনও সময় ভেঙে পড়বে স্কুলের দেওয়াল! ঝুলছে লাল পতাকা! পাশেই ছুটছে খুদে পড়ুয়ারা!
এই উদ্যোগ নেওয়ার কারণ হিসাবে মিঠু চৌধুরী জানান, হাসপাতালে অনেক দুর দুরান্ত থেকে রোগী আসে চিকিৎসা করাতে। অনেকে চিকিৎসা করাতে এসে দিনের পর দিন না খেয়েই কাটাতে হয়। তাদের জন্যই এই পরিকল্পনা। কোন মানুষ যেনো অভুক্ত না থাকে তার জন্যই এই ব্যবস্থা। খাবারের গুণগত মানুষ যথেষ্টই ভাল বলে জানালেন ক্রেতারা। প্রয়োজনে অতিরিক্ত ভাত চাইলেও মিলছে বিনামূল্যে। তাই এক টাকার পেট ভর্তি খাবার অথবা বিরিয়ানির টেস্ট নিতে যে কেউ আসতে পারেন বারাসত হাসপাতালের সামনে। তবে এই উদ্যোগ চালু করায় উপকৃত হয়েছেন বহু মানুষ তা ভ্রাম্যমান এই কাউন্টারের সামনে দাঁড়ালেই বোঝা যায়।
রুদ্র নারায়ন রায়