প্রতিদিন নানান কারণে হাসপাতালে আসতে হয় বহু মানুষকে। সমস্যার কারণে অনেককে ভর্তিও থাকতে হয়। গোটা হাসপাতাল জুড়ে অপরিচ্ছন্ন অবস্থা। জমে রয়েছে ময়লা আবর্জনা। বারংবার বলার পরেও জমে থাকা আবর্জনা সাফাই হচ্ছে না বলে অভিযোগ। এক প্রকার দায়সারা মনোভাব স্বাস্থ্যকর্মী থেকে সাফাই কর্মীদের বলেই রোগী আত্মীয়দের তরফ থেকে অভিযোগ করা হয়। তা নিয়ে বিস্তর অভিযোগ ফিমেল ওয়ার্ডের রোগীদেরও। শুধু অপরিচ্ছন্নতাই নয়, চিকিৎসা পরিষেবা পাওয়ার ক্ষেত্রেও নানা অভিযোগ করলেন রুগীর আত্মীয়রা। ঘুরে বেড়াচ্ছে বিড়াল। স্যালাইনের নল থেকে থুতু এমনকি রক্ত পড়ে থাকতে দেখা যায় হাসপাতালের মেঝেতে। ফলে অপরিচ্ছন্ন ও পরিস্থিতির মধ্যে রোগ মুক্তির থেকে আরও রোগগ্রস্ত হয়ে পড়ছেন রোগীরা বলেই অভিযোগ।
advertisement
আরও পড়ুন: অ্যাকাউন্ট থেকে উধাও ৯২ হাজার টাকা! বাইক কেনার পর প্রতারণার ফাঁদে যুবক!
সংবাদমাধ্যম পৌঁছনোর পরই নড়ে চড়ে বসেন হাসপাতালের স্বাস্থ্যকর্মীরা। ফিমেল ওয়ার্ডে তড়িঘড়ি সাফাইয়ের কাজ শুরু করা হয়। বিষয়টি নিয়ে আমরা কথা বলেছিলাম, হাসপাতালের অধ্যক্ষ ডাক্তার মিজানুল ইসলামের সাথে। তিনি জানান, হাসপাতালের বর্তমানে সুইপারের সংখ্যা হাতে গোনা। পাশাপাশি সঠিক সময় বেতন না মেলায় তাদের মধ্যে অসন্তোষের সৃষ্টি হয়েছে। জেলা স্বাস্থ্যদপ্তরকে এই বিষয়ে জানানো হয়েছে। খুব শীঘ্রই হাসপাতালের এই অবস্থার উন্নতি হবে বলে তিনি আশাবাদী। অসন্তোষ এর বিষয়টি সামাল দেওয়ার পাশাপাশি কবে আবারো পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন হাসপাতালে রূপ নেয় ভাটপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতাল এখন সেদিকেই তাকিয়ে রোগী থেকে রোগীর প্রিয়জনেরা।
রুদ্র নারায়ন রায়