হেলাবটতলা এলাকার ওই এটিএমে ১০ হাজার টাকা তুলে এটিএমের ভিতর দাঁড়িয়েই সেই টাকা গুনতে থাকেন। সেইসময় এক ব্যক্তি এসে বলে, দাদা আপনার ট্রানজেকশন শেষ হয়নি। এটিএম কার্ড টি আর একবার পাঞ্চ করে ক্যানসেল করুন। না হলে কাজ করছে না। এরপরই, তপনবাবু আবারও কার্ডটি ঢুকিয়ে পাঞ্চ করতেই প্রতারক বলেন এবারও কাজ করছে না বলে নিজেই এটিএম কার্ড টি ধরে বার করেন। আর সেই সময়ই, সুযোগ বুঝে তপন বাবুর এটিএম কার্ডটি পাল্টে তপন বাবুকে অন্য একই দেখতে একটি এটিএম কার্ড ধরিয়ে দেন।
advertisement
আরও পড়ুন: তিন বছর ধরে রাস্তায় দিন কাটাচ্ছে তিনটি পরিবার! গ্রামে ঢুকতে পারছে না! এখনও বোলপুরে এসব হয়!
তপনবাবু ব্যস্ত থাকায়, এটিএম কার্ডটি নিয়েই চলে যান। তার কিছু সময় পরই, তপন বাবুর মোবাইলে পরপর মেসেজ আসতে থাকে। মুহূর্তেই অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা কাটার এসএমএস দেখতেই চোখ কপালে ওঠে তপন বিশ্বাসের। এক লাখ টাকা করে তিনটে ট্রানজাকশন হয় মুহূর্তেই।
আরও পড়ুন: খুদে পড়ুয়াদের খাবারে বিছে ! সেই খাবারই খেয়ে নিল অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের শিশুরা!
১০ হাজার টাকা করেও কাটতে থাকে সব মিলিয়ে প্রায় সাড়ে তিন লক্ষ টাকা ১৫ মিনিটের মধ্যেই উধাও হয়ে যায় একাউন্ট থেকে। কি করবেন বুঝে উঠতে না পেরে দৌড়ে যান ব্যাংকে। তড়িঘড়ি ব্যাংকে গিয়ে বিষয়টি জানাতেই ব্লক করা হয় কার্ডটি। কি করবেন বুঝে উঠতে না পেরে বারাসত সাইবার ক্রাইম শাখায় অভিযোগ জানান তপন বাবু। সেখান থেকে বলা হয়, বারাসত থানায় লিখিত অভিযোগ জানাতে। যদিও ঘটনার ২৪ ঘণ্টা কেটে গেলেও এখনও পর্যন্ত কোন সুরাহা পাননি, প্রতারিত হওয়া তপন বিশ্বাস বলেই জানান। কিভাবে সামাল দেবেন গোটা পরিস্থিতি তা এখনও বুঝে উঠতে পারছেন না তিনি।
Rudra Narayan Roy