পরিবার সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘ ৪০ বছর ধরে ওই অফিসেই কাজ করতেন শ্যামসুন্দর সাহা। সেদিন সকালেও বাড়ি থেকে কাজে যাবার উদ্দেশ্যেই বেরিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু আর ফেরা হল না। অগ্নিদগ্ধ হয়ে বহুতলে আটকে পড়েই মৃত্যু হয় শ্যামসুন্দর বাবুর বলেই প্রশাসন সূত্রে জানতে পারে পরিবার। সকালবেলা কাজে গেলেও তার পর থেকে আর কোন খোঁজ পাচ্ছিল না তার পরিবার। এরপরই, পরিবারের লোকজন বারংবার ওই অফিসের সঙ্গে যোগাযোগ করলেও অফিস তাদেরকে মিসগাইড করেছে বলে অভিযোগ।
advertisement
আরও পড়ুন: চোখে কালো কাপড় বেঁধে নানা স্টাইলে চুল কেটে দিচ্ছেন ব্যক্তি! হু-হু করে ভাইরাল! দেখুন
অফিসের বক্তব্য ছিল, শ্যামসুন্দর বাবু ঘটনার দিন কাজেই আসেননি। এরপর, পরিবারের তরফ থেকে কলকাতার হেয়ার স্ট্রিট থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়। অবশেষে ওই বিল্ডিং থেকেই উদ্ধার হয় শ্যামসুন্দর বাবুর দগ্ধ দেহ। প্রিয়জনকে হারিয়ে শোকস্তব্ধ পরিবার স্পষ্টতই অভিযোগ তুলছে ওই কোম্পানির দিকে। কি করে, কেন ওই কোম্পানি অস্বীকার করল যে তাদেরই একজন কর্মী শ্যামসুন্দর সাহা ঘটনার দিন অফিসে আসেননি! কোম্পানিতে উপস্থিত থাকার খবর কতৃপক্ষ কেন চেপে গেল! তা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন শ্যামসুন্দর সাহার পরিবারের লোকজন। ক্ষতিপূরণ এড়াতেই কি কোন ভাবে অস্বীকার করার চেষ্টা করছিল কোম্পানি! গোটা ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে সোদপুর ঘোলা নবপল্লী এলাকায়।
Rudra Narayan Roy