সেখান মোটরসাইকেল কেনার জন্য ফাইন্যান্স কোম্পানিতে লোনের আবেদন জানাতেই রীতিমতো চক্ষু চড়কগাছ। জয়ন্ত বাবুর অজান্তেই তাঁর নামে ৫০-৬০ লক্ষ টাকার লোন হয়েছে, অথচ ঘুণাক্ষরেও জানতে পারেননি পরিবারের কেউ। তিনি কোন সই করেননি, কোন নথিপত্রেরও প্রয়োজন হয়নি অথচ এত টাকা লোন কীভাবে হল! তারপর থেকেই রাতের ঘুম উড়েছে এই ব্যবসায়ীর।
ওই ফাইন্যান্স কোম্পানির তরফ থেকে জয়ন্ত ভট্টাচার্যকে জানিয়ে দেওয়া হয়, তাঁকে আর ঋণ দেওয়া সম্ভব নয়। ইতিমধ্যেই বিভিন্ন ব্যাঙ্ক থেকে ১৫টি খাতে ৫০ থেকে ৬০ লক্ষ্য টাকার লোন নেওয়া রয়েছে তার নামে। কী করবেন, তা বুঝে উঠতে না পেরে ভাটপাড়া থানার দ্বারস্থ হন জয়ন্ত ভট্টাচার্য। তিনি জানান, কোনও রকমে ফুড ডেলিভারির ব্যবসা করে চলে সংসার। কাজের সুবিধার জন্য ভেবেছিলাম মোটরসাইকেল কেনার কথা। আর সেই জন্যই লোনের আবেদন করতে সামনে এল এই ঘটনা।
advertisement
থানা থেকে সাইবার ক্রাইমে অভিযোগ জানানোর কথা বলা হলেও সেখানে তেমনভাবে সাহায্য মেলেনি বলেই দাবি ভট্টাচার্য পরিবারের। বাধ্য হয়েই আদালতের দ্বারস্থ হন জয়ন্তবাবু। আদালত যে ব্যাঙ্কগুলি থেকে ঋণ নেওয়া হয়েছে, তার নথি নিয়ে আসার নির্দেশ দেন। এখন পরবর্তী কী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে আদালত সেদিকেই তাকিয়ে জয়ন্ত ভট্টাচার্য-সহ গোটা পরিবার। তবে কীভাবে ঘটল এই ঘটনা, তা এখনও বুঝে উঠতে পারছেন না কেউই।