গতবছরের বর্ষা এবং তার পরবর্তীতে অতি ভারি বৃষ্টির জেরে নিউটাউনের বিস্তীর্ণ অঞ্চলের মানুষ জলবন্দি হন।জলে ডুবে যায় একশন এরিয়া এক এর বিসি, বিই, বিএ, বিবি ব্লক। দীর্ঘদিন জলবন্দি থাকে সুখবৃষ্টি আবাসন, তিন কন্যা আবাসন, এনএসজি হাব। সাপুরজি বাস টার্মিনাস সংলগ্ন ইস্কনের মন্দির ও গোসালাও জলমগ্ন থাকে বেশ কিছুদিন।সেবার বাগজোলার জল স্তর ৩.১ মিটার উঠেছিল। সেই জল খাল পাড় ছাপিয়ে নিউটাউনে ঢুকেছিল। তাই খালের জল রুখতে বাগজোলার পাড় উঁচু করা হয়েছে। সে সময় জনস্বাস্থ্য ও কারিগরী দপ্তর, নবদিগন্ত, কেএমডিএ, হিডকো, এনকেডিএ সব দফতরের সিনিয়র আধিকারিকদের নিয়ে একটি বিশেষঞ্জ কমিটি তৈরি করা হয়। তাঁদের পরামর্শে নিউটাউনের জমা জল থেকে এলাকাবাসীকে মুক্তি দিতে একাধিক পরিকল্পনা নেয় হিডকো কর্তৃপক্ষ।
advertisement
আরও পড়ুন : ১ কেজির ইলিশের দাম উঠল কত? মরশুমের প্রথম ইলিশ কোথায়-কত দামে? দেখুন তালিকা
তখন ঠিক হয় যে নিউটাউনে আটটি উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন বুস্টার পাম্পিং ষ্টেশন আছে সেগুলি ছাড়া নতুন করে সিটি সেণ্টার টু এর কাছে দুটি এবং একশন এরিয়া তিন এ তিন টি, মোট পাঁচটি পাম্প হাউস তৈরি করা হবে। নিউটাউনের পেরিফেরি ক্যানালের সঙ্গে বাগজোলা খালের সংযোগ করা হবে এবং এলাকায় অত্যাধুনিক স্লুইস গেট লাগানো হবে।খালের মধ্যে কি পরিমাণ পলি জমা হচ্ছে বা অন্য কোন বর্জ্য জমে আছে কিনা তা দেখার জন্য উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন আন্ডার ওয়াটার সিসি ক্যামেরার ব্যাবহার করা হবে বলেও জানানো হয়। পাশাপাশি ভ্রাম্যমান মোবাইল ক্যামেরার এবং ড্রোনের সাহায্যেও নজরদারি চালনোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এতকিছু আয়োজনের পর এবারের বর্ষা একি হাল হয় এখন সে দিকেই তাকিয়ে নিউটাউনবাসী।
প্রতিবেদক - রুদ্র নারায়ন রায়