একজন পেশাদার চাষি যা চাষ করেন তাঁর থেকেও অনেক বেশি যত্ন ও দায়িত্ব নিয়ে সবজি ফলানো হয়েছে কয়েক কাটা জমিতে। মূলত থানার বড়বাবু সনৎ দাসের উদ্যোগে কিচেন গার্ডেন হয়েছে নিউটাউন থানায়। যে বাগিচায় উৎপাদিত সবজি সরাসরি চলে যাচ্ছে থানার মেসে (North 24 Parganas News)। সেখানকার ক্যান্টিনে মাছ, মাংস, ডিম বাইরে থেকে এলেও ঘরে উৎপাদিত সবজি দিয়েই ভুরিভোজ করছেন থানার পুলিশ কর্মীরা।পুলিশ আধিকারিক সনৎ দাস জানালেন, "রোজ রোজ রাসায়নিক সারে উৎপাদিত সবজি না খেয়ে মাঝে মধ্যে বিশুদ্ধ আনাজ খেতেও ভাল লাগে। তাছাড়া গাছাপালা থাকলে বিশুদ্ধ অক্সিজেন পাওয়া যায়, সবুজ দেখলে চোখ ও মনের আরাম মেলে। তাই সবাই মিলে একটু চেষ্টা করলাম বাগান করার।"
advertisement
থানার বড়বাবুর এমন কাজে খুশি বিধাননগর কমিশনারেটের ডেপুটি কমিশনার অবধি।তিনি বলেন, "নিউটাউন থানা একবার রাজ্যের সেরা থানার শিরোপা পেয়েছিল। রোজকার আইনের কচকচানির মধ্যেও নিউটাউন, ইকো পার্ক থানা বাগান তৈরিতে মন দিয়েছে। এতে পুলিশের মনও ভাল থাকে।"
পুলিশ সূত্রে খবর, আদপে নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জ থানা এলাকার বাসিন্দা সনৎ বাবুর ভিটে বাড়ি টাই কয়েক বিঘা জমির ওপর। সেখানে আম, জাম, লিচুর পাশাপাশি হরেক রকম সবজি ও আনাজের চাষ হয়। বছর খানেক আগে নিউটাউন থানার আইসি হিসাবে যোগদান করার আগে প্রায় তিন বছর আইসি হিসাবে বহরমপুর থানায় কর্মরত ছিলেন তিনি। সেখানেই নিজের উদ্যোগে থানার ৩৫ বিঘা জমির ওপর সুবিশাল ফুল ও ফলের বাগান তৈরি করেছেন (North 24 Parganas News)। যা রাজ্যের একটা মডেল থানা হিসাবে পরিগণিত হয়েছে। থানার এক পুলিশ কর্মী বলেন, "এখন যে জায়গায় সবজির বাগান তৈরি হয়েছে সেখানে আগে দুর্ঘটনাগ্রস্ত গাড়িগুলিকে স্তূপাকারে রাখা হত। তাতে মশা, মাছি, সাপ, ব্যাঙের উৎপাত বাড়ত, কটূ গন্ধ ছড়াত। বড়বাবু এই থানায় আসার পর এই ভাঙাচুরো গাড়ি গুলিকে দূরে সরিয়ে ছ’ কাটা জমির ওপর একটা সুন্দর বাগান তৈরি করেছেন। সেই বাগানেই এখন পালং, নটে শাক, ধনেপাতা, টম্যাটো, ক্যাপসিকাম, বিট, গাজর, বিনসের চাষ হচ্ছে। কলাগাছ, সজনে ডাটাও আছে।সম্প্রতি আম, জাম, লিচু, সবেদা, পিয়ারা লাগানো হয়েছে।"
Rudra Narayan Roy