বিভূতিভূষণ হল্ট স্টেশনের যাত্রীদের দাবি ছিল তাদের স্টেশনে প্রতিটি ট্রেন দাঁড় করাতে হবে। শিয়ালদহ থেকে বনগাঁ পর্যন্ত ২৯ জোড়া ট্রেন চলে অথচ সময় মেনে মাত্র ১৮ জোড়া ট্রেন দাঁড়ায় বিভূতিভূষণ হল্ট স্টেশনে।বনগাঁ-বারাসাত নতুন ট্রেন চালু হলেও যাত্রীদের আশা ছিল স্থানীয় সংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরের কথামতো এই হল্ট স্টেশনে বেশিরভাগ ট্রেন দাঁড়াবে। কিন্তু এদিন তাদের কোন দাবি পূরণ হল না বলে আক্ষেপ করেন যাত্রীরা।
advertisement
সীমান্ত শহর বনগাঁ স্টেশনের উপর নির্ভর করে কলকাতায় প্রয়োজনে, কর্মস্থলে নিত্যদিন যাতায়াত করতে হয় বহু যাত্রীদের। আবার বহু মানুষ কলকাতা থেকে বনগাঁয় আসেন এবং অনেকে পর্যটক বাংলাদেশে যান পেট্রাপোল বর্ডার দিয়ে। তাই যাত্রী সুবিধার কথা মাথায় রেখে দীর্ঘ দিনের দাবি মেনে ভারতীয় রেলমন্ত্রকের উদ্যোগে এদিন থেকে চালু হল অতিরিক্ত বনগাঁ-বারাসাত লোকাল।
আরও পড়ুন: Purulia News: নবপ্রজন্মের ছেলে-মেয়েদের বইয়ের প্রতি আগ্রহ বাড়াতে শুরু হয়েছে আদিবাসী বইমেলা
এদিন বনগাঁ স্টেশন থেকে প্রথম ১২.২০ নাগাদ ট্রেন চালু হয়। এদিনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর এবং পূর্ব রেলের ডিআরএম সহ রেলের একাধিক আধিকারিকেরা। আপাতত আপ ও ডাউন মিলে দুটি নতুন ট্রেন চলবে অফিস সময়ে বনগাঁ থেকে বারাসাত পর্যন্ত।
বারাসত থেকে প্রথম সকাল ছটা কুড়ি মিনিটে বনগাঁর উদ্দেশ্যে ট্রেন ছাড়বে, বনগাঁ থেকে ৭:৪১ মিনিটে বারাসতের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাবে। পরবর্তীতে ট্রেনের সংখ্যা আরও বাড়বে বলে আশাবাদী কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। তবে বিভূতিভূষণ হল্ট স্টেশনে আরো ট্রেন দার করানো যায় কিনা সে বিষয়ে আলোচনা করা হবে বলেও জানিয়েছেন সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।
রুদ্র নারায়ণ রায়