সুন্দরবনের অঞ্চলের অত্যন্ত এলাকা গাঁ গ্রামের মেয়ে হলেও মোটর বাইক সারিয়ে তাক লাগান লক্ষ্মী। সংসারে অভাব অনাটনের মধ্যে জীবন সংগ্রামকে মেনে নিয়েছিলেন সহজে, আর বুঝেছিলেন যেভাবে হোক দমে গেলে চলবে না। তাই কখনও আর পাঁচটা গ্রামের মেয়ে বউয়ের মতো ভাগ্যের দোষ দিয়ে ঘরে বসে কেবল চোখের জল না ফেলে হাতুড়ি রেঞ্জ নিয়ে জীবন সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছেন লক্ষ্মী বৈদ্য।
advertisement
আরও পড়ুন - রঙবেরঙের পুঁতিতে রঙিন হয়ে উঠছে মেয়েদের জীবন, বাড়ছে রোজগার
আরও পড়ুন - দু'হাত জোড় করে মায়ের সামেন শ্রদ্ধা ভরপুর, তারা মায়ের পুজো দিলেন মদন মিত্র, রইল ভিডিও
মোটর বাইক, সাইকেল, ভ্যান, মেরামত করে স্বামীর সঙ্গে সংসারে হাল ধরেছে লক্ষ্মী। সুন্দরবনের প্রত্যন্ত গ্রামের মহিলারা যেখানে গৃহস্থলী কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকে সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে লক্ষ্মী বৈদ্য যেন এলাকায় এক আলোচিত নাম। যারা গেছে একসময় স্বামী সংসার চালাতেন কিন্তু অভাবের সংসারে কিছুটা স্বচ্ছতা আনার তাড়নায় সাইকেলের পাশাপাশি মোটরবাইক মেকানিকের কাজ শিখে ফুটপাতে ব্যবসা শুরু করেছিলেন। এখন কাজ করে সংসারের হাল ধরেছেন। নিজে লেখাপড়া না শিখলেও ছেলেকে ভর্তি করেছে স্কুলে। সব মিলিয়ে সুন্দরবনের অঞ্চলের প্রত্যন্ত এলাকার মহিলা লক্ষ্মী বৈদ্য যেন এক হার না মানার গল্প গেথে দিয়েছে সীমান্ত সুন্দরবন এলাকার মানুষকে জুলফিকার মোল্লা৷