আরও পড়ুন: প্রথম বিধবা বিবাহ করেছিলেন, তবুও বিস্মৃতির অতলে শিক্ষক শ্রীশচন্দ্র বিদ্যারত্ন
গত ৩ মাস ধরে বাদুড়িয়ার আটঘরা এলাকার বিভিন্ন গ্রামে ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন ওই ব্যক্তি। ঘটনাটি নজর এড়ায়নি এলাকার মানুষের। কিন্তু কে তিনি? কোথা থেকে এসেছেন? অনেকেই ওই ভবঘুরের সঙ্গে কথা বলে নাম-পরিচয় জানার চেষ্টা করেন। কিন্তু কারও কাছেই কিছু বলতে চাইতেন না তিনি। মাঝে মধ্যে দুর্বোধ্য ভাষায় কী যে বিড়বিড় করতেন তাও বোঝা যেত না। এলাকার গ্রাম্য চিকিৎসক রফিকুজ্জামান নিয়ম করে ওই ব্যক্তির কাছে গিয়ে প্রতিদিন নাম-ঠিকানা জিজ্ঞেস করার চেষ্টা করতেন। এইভাবে তিনি বেশ কিছু তথ্য পান।
advertisement
ওই গ্রামীণ চিকিৎসক গত তিন মাস ধরে এইভাবেই তথ্য সংগ্রহ করেছেন। আর তাতেই জানতে পারেন ওই নিখোঁজ ভবঘুরের বাড়ি বিহারের সিটামরাটি জেলার বাজিতপুর এলাকায়। তারপর গ্রামবাসীরা বিহারের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তাদের মাধ্যমেই ওই ব্যক্তির পরিবারের সঙ্গে মোবাইলে কথা হয়। এদিন ওই ভবঘুরের পরিজনরা বিহার থেকে বাদুড়িয়ায় এসে পৌঁছন। অবশেষে গ্রামীণ চিকিৎসক রফিকুজ্জামান, আব্দুল হামিদ ফাইজি সহ গ্রামবাসীরা তাঁকে পরিবারের হাতে তুলে দেন। বিদায়কালে ওই পরিবার গ্রামবাসীদের ধন্যবাদ জানাতে ভোলেননি।
জুলফিকার মোল্লা