মুখ্যমন্ত্রীর আগমনের আগেই নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখতে এদিন বসিরহাট হিঙ্গলগঞ্জ ব্লকের সুন্দরবনের কালীতলা গ্রাম পঞ্চায়েতের সামশের নগর গ্রামে, ভারত ও বাংলাদেশর একদম শেষ সীমান্তে প্রস্তুতি দেখতে রাজ্যের প্রশাসনিক কর্তারা আসেন। উপস্থিত ছিলেন উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার জেলাশাসক শরৎ কুমার দ্বিবেদী, বসিরহাট পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার ডক্টর জবি থমাসকে, বসিরহাট তৃণমূলের সাংগঠনিক জেলা সভাপতি সরোজ বন্দ্যোপাধ্যায়, চেয়ারম্যান হাজী নুরুল ইসলাম, হিঙ্গলগঞ্জের ব্লক সভাপতি শেখ শহিদুল্লাহ গাজী সহ অন্যান্য প্রশাসনিক কর্তা ও নেতৃত্বেরা।
advertisement
আরও পড়ুন: ফাঁকা বাড়িতে এ কী কাণ্ড! কাজ থেকে ফিরে শিউরে উঠলেন দৃশ্য দেখে...
প্রথমে, সামশের নগর বনবিবি মাঠে হেলিপ্যাড ও জনসভার স্থলের জায়গা খতিয়ে দেখেন তারা। পাশাপাশি বনবিবি ঠাকুরের স্থানের এলাকাও খতিয়ে দেখেন প্রশাসনিক কর্তারা। আগামী ২৯ নভেম্বর মঙ্গলবার হিঙ্গলগঞ্জের কালী তলায় একটি প্রকাশ্য জনসভা করবেন মুখ্যমন্ত্রী এমনটাই প্রশাসনিক সূত্রে খবর।
এদিন প্রশাসনিক কর্তাদের পর্যবেক্ষণে আশায় বুক বাঁধতে শুরু করেছে সুন্দরবনবাসী। সামনে পঞ্চায়েত নির্বাচন। পাশাপাশি, পর্যটনের জন্য নতুন কি দিশা দেখাবেন এছাড়াও বসিরহাট জেলা নিয়ে নতুন কোন চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেন কিনা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছেন সীমান্ত থেকে সুন্দরবনের প্রান্তিক মানুষেরা। জানা গিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী কালিতলায় জনসভা করার পর, ওখান থেকে আসবেন টাকি এলিয়েন ক্লাবের মাঠে। হেলিকপ্টারে নেমে, সেখান থেকে পি এইচ ই বাংলোয় রাত কাটাবেন ও জরুরি বৈঠক সারবেন।
এদিন তাই মুখ্যমন্ত্রী আসার আগে পি এইচ ই বাংলোও পরিদর্শন করলেন বসিরহাট মহাকুমার এসডিও-র প্রতিনিধি দল। খতিয়ে দেখে তাদের তরফ থেকে মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তা নিয়ে একাধিক নির্দেশ দেওয়া হয়। মুখ্যমন্ত্রী সফর ঘিরে একদিকে যেমন চলছে বাংলো রং করা, অন্যদিকে রাস্তা ঘাট পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করতে দেখা যাচ্ছে টাকি পৌরসভার কর্মীদের। ৩০ নভেম্বর সকালবেলা প্রাতঃভঙ্গনে বেরোতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী। পর্যটক থেকে সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলতে পারেন। তারপর আবারও হেলিকপ্টারে দমদমের উদ্দেশ্যে রওনা দেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সীমান্তবর্তি এলাকা হওয়ায় নিরাপত্তার কঠোর বেষ্টনীতে মুড়ে ফেলা হবে গোটা এলাকা বলেই প্রশাসন সূত্রে খবর। ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে নানা গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় নাকা চেকিং। টাকি পর্যটন কেন্দ্রের পর্যটকদের এলাকা খালি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলেও জানা গিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী সফরের আগে নিরাপত্তা নিয়ে কোন ফাঁক রাখতে চাইছে না জেলা প্রশাসন। এদিন হেলিকপ্টার দেখতে উৎসাহ মানুষের ভিড় ছিল চোখে পরার মত। এখন মুখ্যমন্ত্রী আসার অপেক্ষায় সুন্দরবনবাসীরা।
রুদ্র নারায়ন রায়