সেখানে তাঁর ঢাকের বোলেকোমর দোলাতে বাধ্য করেছে প্রবাসী বাঙালীদের। গত বছরের সেই স্মৃতি নিয়েই এ বছর অসমে পাড়ি দিচ্ছেন মছলন্দপুরের এই মহিলা ঢাকি। ঢাক বাজানোর পেশাকে অনেকেই ছোট মনে করলেও, কোনওভাবেই এই পেশাকে ছোট মনে করতে রাজি নন মহিলা ঢাকি রুমা।
আজ মসলন্দপুরের অধিকাংশ মানুষই তাকে চেনেন মহিলা ঢাকি হিসেবে আর সুইজারল্যান্ডে পাড়ি দিয়ে ঢাক বাজানোর সুযোগ আসার পর থেকেই অনেকেই তাকে বিদেশে যাওয়া মহিলা ঢাকি বলেও সম্মোধন করেন। আর এতেই যেন গর্ব অনুভব করেন রেলপাড়ের এই গৃহিণী।
advertisement
আরও পড়ুন: বসিরহাটে থিমের রমরমা, টেক্কা দিচ্ছে তিলোত্তমা কলকাতাকে
কয়েক বছর আগে বাজার এ যাওয়ার পথে ঢাকের আওয়াজ তাকে আকৃষ্ট করেছিল। সেই থেকেই বাদ্যকার শিবপদ দাসের কাছে তালিম নেওয়া শুরু ঢাকের বোল রপ্ত করার। শুধু রুমা নন আজ অনেক মহিলাই এভাবে ঢাকের বোল রপ্ত করে গড়ে তুলেছেন মহিলা ঢাকিদের দল। যার মধ্যে রয়েছে গৃহবধূ, কলেজ ছাত্রী এমনকি ষষ্ঠ, সপ্তম শ্রেণির ছাত্রীরাও।
তবে একমাত্র রুমাই তার ঢাকের বাজনা জোরে ডাক পেয়েছেন বিদেশে যাওয়ার। সেই মতো গতবছর বিদেশের মাটিতে ঢাক বাজিয়ে আনন্দ দিয়েছেন প্রবাসীদের। এবছরও এই মহিলা ঢাকির দল পৌঁছে যাবে অসমে বলেই জানা গিয়েছে।
সংসারের কাজ সামলে নির্দিষ্ট সময়ে চলে ঢাকের তালিম। সংসার জীবনেও যেন ঢাক ওতো প্রতপ্রতভাবে জড়িয়ে গিয়েছে, রুমা দালাল বিশ্বাসের সঙ্গে। অন্যান্য মহিলাদেরও আজ ঢাক বাজিয়ে স্বনির্ভর হওয়ার পথ দেখান মছলন্দপুরের মহিলা ঢাকি রুমা দালাল বিশ্বাস।
Rudra Narayan Roy