উত্তর ২৪ পরগনা জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক অফিসের ডেপুটি ডিরেক্টর বিশ্বজিৎ দেবনাথ সরাসরি স্বীকার করে নেন, পর্যাপ্ত কর্মীর অভাবেই তাঁরা গত এক বছর ধরে ওই মাদ্রাসা শিক্ষকদের এরিয়ার বকেয়া অর্থ সংক্রান্ত ফাইল খুলে দেখতে পারেননি। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কর্মীর প্রচণ্ড অভাব। পিওন, ক্লার্ক পদে কোনও লোক নেই। মাত্র দু'জনকে নিয়ে দফতর চালাচ্ছি। শিক্ষকদের পেনশন ফাইলের কাজ সারতে সারতেই সময় ফুরিয়ে যাচ্ছে। তবে বিশ্বজিৎবাবু স্বীকার করে নিয়েছেন, তাঁদের লোক বলের অভাবে জেলার মাদ্রাসা শিক্ষকরা ন্যায্য পাওনা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
advertisement
আরও পড়ুন: আমফানে ক্ষতিগ্রস্ত নদী বাঁধ সংস্কার শুরু, বর্ষার আগে স্বস্তিতে এলাকাবাসী
উত্তর ২৪ পরগনার এই ৮০-৮৫ জন মাদ্রাসা শিক্ষকের এরিয়ার টাকা প্রথমে বরাদ্দই করা হয়নি। পরে তাঁদের আন্দোলনের জেরে অর্থ দফতর এরিয়ার ফাইল ছাড়ে। কিন্তু বারাসতে জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শকের অফিসে সেই ফাইল এসে ২০২২ সাল থেকে পড়ে আছে। আর তিনদিন পরই শেষ হয়ে যাবে চলতি অর্থবর্ষ। কিন্তু এখনও বকেয়া অর্থ না পেয়ে ক্ষুদ্ধ মাদ্রাসা শিক্ষকরা বারাসতে জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক অফিসের ডেপুটি ডিরেক্টরের ঘরের বাইরে বিক্ষোভ দেখান। তাঁরা বলেন, যতক্ষণ না প্রাপ্য অর্থ অ্যাকাউন্টে ঢুকছে ততক্ষণ তাঁরা এই বিক্ষোভ আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।
রুদ্রনারায়ণ রায়