আরও পড়ুন: ১০০ মেধাবী উচ্চমাধ্যমিক পাশ ছাত্রীকে স্কুটি দেবে সরকার, শিক্ষক দিবসে ঘোষণা ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীর
অবশ্য এই ভিড় মোকাবিলার জন্য আগে থেকেই প্রস্তুত ছিল প্রশাসন। এর জন্য বাড়তি পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলিতে। ফলে যানজটের সৃষ্টি হলেও তেমন কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। এদিকে লোকনাথ ভক্তদের জন্য রাস্তায় দু’পাশে জলছত্র খোলা হয় বহু জায়গায়। সেখানে ছিল এলাহী আয়োজন। জল, শরবত থেকে শুরু করে লজেন্স, লাড্ডু, খিচুড়ি, লুচি, আলুরদম, পায়েস প্রস্তুত ছিল লোকনাথ ভক্তদের রসনা তৃপ্তির জন্য।
advertisement
দূর দূরান্ত থেকে পায়ে হেঁটে আসা বিভিন্ন বয়সের শিশু, মহিলা, পুরুষ ও বৃদ্ধদেরও দেখা যায় এদিনের চাকলা ও কচুয়া ধামযাত্রায়। মধ্যমগ্রাম, সোদপুর রোড, ডাকবাংলো মোড়, চাঁপাডালি মোড়ে রাত যত বেড়েছে তত বেড়েছে মানুষের ঢল। রাস্তা আলোকিত করা হয় বিভিন্ন সংস্থার তরফ থেকে। বহু লোকনাথ ভক্তের পা ধুইয়ে দিয়ে সেবা করতে দেখা যায় অনেককে। পাশাপাশি এদিন গঙ্গা থেকে জল তুলে কাঁধে বাঁক নিয়েও বহু ভক্তদের দেখা যায় পায়ে হেঁটে চাকলা ধামের উদ্দেশ্যে যেতে। কেউ বাইক, আবার কেউ সাইকেল করেও কচুয়া পৌঁছন। লোকনাথ ভক্তদের এই পুণ্য তীর্থযাত্রায় একাংশের আচরণ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ডিজে বাজিয়ে ভক্তদের একাংশ উদ্দাম নাচতে নাচতে কচুয়া পৌঁছন। জল ঢেলে, পুজো দিয়ে বুধবার সকালে আবার নিজ নিজ ঠিকানায় ফিরবেন ভক্তরা। তাই মঙ্গলবার যেমন জেলা সদর শহর সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা ভক্তদের ভিড়ে ঠাসা ছিল, বুধবার ট্রেন-বাসে একই পরিস্থিতি তৈরি হবে বলে আশঙ্কা।
রুদ্রনারায়ণ রায়